পশ্চিমবঙ্গ

বর্ধমান জেলায় ১০০টি স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং ইনসিনারেটর ভেণ্ডিং মেশিন বসানো হচ্ছে

FOCUS BENGAL

FOCUS BENGAL

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: চলতি আর্থিক বছরে জেলার ১০০টি কো-এড এবং গার্লস স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেণ্ডিং মেশিন এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন ইনসিনারেটর মেশিন দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জেলার গার্লস ও কো-এড মিলিয়ে মোট ১০০টি স্কুলে এবং ৪১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংঘ ভবনে এই ভেণ্ডিং মেশিন ও ইনসিনেটর মেশিন দেওয়া হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

এজন্য খরচ পড়বে মোট ৫৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, কো-এড এবং গার্লস স্কুলে এর আগেও ভেণ্ডিং মেশিন এবং ইনসিনারেটর মেশিন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশেষত ইনসিনারেটর মেশিন থেকে অতিরিক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি হওয়ায় তা পরিবেশ বান্ধব নয় বলে বাতিল করা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু মেশিন যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য সঠিকভাবে চালানো সম্ভব হয়নি। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে যে মেশিনগুলি দেওয়া হচ্ছে তা পরিবেশ বান্ধব এবং অটো সিস্টেম যুক্ত। 

তিনি জানিয়েছেন, গোটা জেলায় মোট কো-এড স্কুল রয়েছে ৫৯৭টি এবং গার্লস স্কুল রয়েছে ১০৩টি। প্রথম দফায় কো-এড এবং গার্লস স্কুল সহ মোট ১০০টি মেশিন দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে বাকি স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গোটা জেলায় গার্লস মাদ্রাসা স্কুল রয়েছে ২টি এবং কো-এড মাদ্রাসা রয়েছে ৩১টি।

 এরই পাশাপাশি জেলার ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ২৩০টি সোলার সিস্টেম সাবমার্শিবল পানীয় জলের কল বসানো হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের সংকট মেটাতে জেলাপরিষদ এবং জেলা বীজ খামারে ইটিসি ভবনে বৃষ্টির জল সরাসরি ভূগর্ভে পাঠানোর প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা।

                                        ছবি – ইন্টারনেট (সংগৃহিত)
Advertisement