অপরাধ দমনে বর্ধমানের ১১টি থানা এলাকায় ৩০০টি সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার উদ্যোগ জেলা পুলিশের

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গত কয়েকমাসে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ অপরাধ দমন এবং বিভিন্ন অপরাধের  সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ সাফল্য পেয়েছে। খোদ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ অপরাধের তদন্তে নেমে অপরাধের কিনারা করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। আর এবার জেলায় সংগঠিত হওয়া অপরাধের আরো দ্রুত কিনারা করতে জেলার ১১টি থানা এরিয়াকে দুটি পর্যায়ে ২৫০ থেকে ৩০০টি সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি এবং পরবর্তীতে আরো ১০০থেকে ১৫০টি ক্যামেরা লাগানো হবে। ডিএসপি হেড কোয়ার্টার শৌভিক পাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জেলার ১১টি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় দুটি পর্যায়ে এই উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এরমধ্যে বর্ধমান থানার অধীনে ১০টি জায়গায় ২৮ থেকে ৩০টি ক্যামেরা লাগানো হবে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের উল্লাস মোড়, আলিশা বাস স্ট্যান্ড, তেলিপুকুর, ঘোড়দৌড়চটি, পুলিশ লাইন, বড়নীলপুর, ছোটনীলপুর, ক্লক টাওয়ার, বিরহাটা, কালিবাজার টাউন হল, কার্জন গেট, বাদামতলা, গোলাপবাগ, লক্ষীপুর মাঠ, বর্ধমান মিউনিসিপ্যালিটি, বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ে আগেই সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এবার শহরের আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জেলা পুলিসের উদ্যোগে। জেলার প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ১৮ টি সিসি ক্যামেরা ইতিমধ্যেই ইন্সটল রয়েছে।  

যদিও জেলা প্রশাসনের তত্ত্ববধানে সেগুলি লাগানো হলেও, ঠিকঠাক রক্ষনাবেক্ষণ করার প্রয়োজন আছে। তবে নতুন ইন্সটল করা হাই রেজুলেশান উন্নত প্রযুক্তির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আগের ক্যামেরার থেকে বেশি প্রযুক্তিগত সাহায্য দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিপূর্বেই বড়বাজার, সোনাপট্টি, কালনাগেট মোড়, তেলিপুকুর মোড়, বাজেপ্রতাপপুর, ডিএম অফিসের সামনের রাস্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে শহর জুড়ে অপরাধ প্রবণতা কমাতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকমাস আগে প্রায় ৬০টি চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করে দুটি ধাপে মালিকদের ফেরত দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে সেই সমস্ত চোরাই বাইক উদ্ধারের ক্ষেত্রে। এছাড়াও বিগত কয়েকমাসে জেলায় বিভিন্ন থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া খুন, ডাকাতি, চুরি ইত্যাদি ঘটনার তদন্তেও এই সিসি ক্যামেরার তথ্য অপরাধের কিনারা করতে প্রচুর সাহায্য করেছে। স্বাভাবিকভাবেই জেলায় অপরাধ দমনে জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ আগামীদিনে আরো সফলতা এনে দেবে বলেই মনে করছেন জেলার পুলিশ মহল।