অবাক কান্ড! বর্ধমানে রোগীর পেট কেটে বেরোলো ২৪৮টা লোহার পেরেক, ৩৫টা কয়েন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আশ্চর্য ঘটনা। মানুষের পেটের ভিতর থেকে বেরোলো ২৪৮টি লোহার পেরেক। ৩৫টি কয়েনও বের করেছেন শল্য চিকিৎসারা। অপারেশন শেষে খোদ চিকিৎসকদেরই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এমন বিরল ও জটিল অস্ত্রোপচারের পর রোগী কিন্তু সুস্থ আছেন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই আজব ঘটনার সাক্ষী বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 

মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা শেখ মইনুদ্দিন(৩৮) বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন। বর্ধমান হাসপাতালের মানসিক বোগ বিভাগেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। দাদা মসিলউদ্দিন বলেন, ‘শনিবার থেকেই ভাই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। পেটে ব্যাথা হচ্ছে এটা হাভেভাবে বোঝাচ্ছিল। আমরা মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককের কাছে মইনুদ্দিনকে নিয়ে আসি। চিকিৎসকরা এক্স রে করে তাকে ভর্তি করেন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় ১ লাখ টাকারও বেশী খরচ হবে অপারেশন করতে। কিন্তু অতটাকা দেওয়ার সামর্থ তাদের না থাকায় বুধবার সকালে তাকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ওখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার রাতে সার্জারী করে তার পেট থেকে ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন ও বেশ কিছু পাথর কুচি বের হয়। এতো কিছু কখন খেয়েছে আমরা জানতেই পারিনি। তবে অপারেশনের পর ভাই এখন সুস্থ আছে। এনারা চিকিৎসক নন, ভগবান।’ বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দাদা মসলিন উদ্দিন। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল এমারজেন্সির দ্বোতলার একটি বেডে ভর্তি রয়েছে মইনুদ্দিন। তার এক দাদা ও এক ভাই সর্বক্ষণ তার পাশে রয়েছে। মানষিক রোগী যে, যদি আবার কি খেতে কি খেয়ে ফেলে!
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘মইনুদ্দিন কে ওর পরিবারের লোকেরা নিয়ে আসার পরে আমাদের চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করে দেখে সন্দেহ হয়। আগে একটি নার্সিংহোমেও চিকিৎসা করিয়েছিল ওর পরিবারের লোকেরা। অপারেশন করার পরে এভাবে কয়েকশো লোহার পেরেক ও কয়েন উদ্ধারে সকলেই অবাক হন। হাসপাতালের ইতিহাসে সম্ভবত এমন ঘটনা প্রথম। তবে সফল অস্ত্রপ্রচারের পরে রোগী এখন  সুস্থ আছেন।’