অস্থায়ী কাঠের সেতু থেকে দামোদরের জলে পড়ে গেল যাত্রী বোঝাই গাড়ি, আহত সাত
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: শর্ট কাটে যেতে গিয়ে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানার অন্তর্গত দামোদর নদের উপর কাঠের অস্থায়ী সেতু থেকে নিচে জলে পড়ে গেল যাত্রী বোঝাই মারুতি ভ্যান। সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভ্যানের চাকা ফেটে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার পর স্থানীয় বালি ঘাটের কর্মরত কর্মীরা দ্রুত ছুটে এসে নদীতে ডুবতে থাকা মারুতি ভ্যানের দরজা খুলে ভিতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। জানা গেছে দুর্ঘটনার পরই চালক পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটনাস্থল পাত্রসায়র থানার অধীনে হলেও স্থানীয়রা প্রথমে গলসি থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই শিশু সহ আট জনকে উদ্ধার করে প্রথমে পুরসা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে পাঁচ জনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠালে দুজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন গলসি থানার রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের আটপাড়া থেকে বাঁকুড়ায় একটি বিয়ে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে একটি মারুতি ভ্যানে করে রওনা হয় আট জন। তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর জন্যে শীল্যার দিক থেকে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এর দিকে যাবার দামোদরের উপর এক বালি ঘাট মালিকের তৈরি করা অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়ে পেরোনোর সময় গাড়িটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায়।
এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতু থেকে সোজা নিচে নদের জলে পড়ে যায় যাত্রী সমেত গাড়িটি। বালি ঘাটের কর্মীরাই দ্রুত গাড়ি তে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করে আনে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, একটু দেরি হলে বড়সড় অঘটন ঘটে যাবার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুরুতর আহত যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন সেখ সামসুল আলম(১৭), আরমিনা বেগম(৩৫), নুর আলম মীর(৬২), নেজ বাহার বেগম(৩৫) ,বাম হাত ভেঙেছে ও রোজিনা খাতুন(২৮) বুকে আঘাত লেগেছে। এছাড়াও দুটি শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের প্রত্যেকের বাড়ি গলসির আটপাড়ায়।