---Advertisement---

আউশগ্রামে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তৃণমূলেরই ৩ সক্রিয় নেতা, আলোড়ন

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আউশগ্রাম ২ ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধান সাগর বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সীকে সুপারি কিলার দিয়ে খুনের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার হল ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলেরই দুই সদস্য ও এক অঞ্চল সভাপতির ছেলে। স্বাভাবিকভাবেই চঞ্চল বক্সীকে গুলি করে খুন করার পর তৃণমূলের তাবর নেতারা এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে যে তত্ত্ব খাড়া করতে চেয়েছিলেন, খোদ তৃণমূলের তিনজন সক্রিয় নেতা কর্মী গ্রেপ্তারের পর সেই তত্ত্ব মিথ্যা বলেই প্রমাণিত হল বলে বিজেপির পক্ষ থেকে সুর চড়ানো হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন
রবিবার এই খুনের ঘটনায় গঠিত সিট যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের প্রত্যেকেই তৃণমূলের নেতা এবং পদাধিকারী বলে জানা গেছে। আর এরপরেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। ধৃতদের নাম আসানুর মন্ডল, বিশ্বরুপ মন্ডল ওরফে মানু ও মণির হোসেন মোল্লা। এরমধ্যে আসানুর মন্ডল ও মণির হোসেন মোল্লা দেবশালা পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা পঞ্চায়েতের সদস্য। বিশ্বরুপ মন্ডল ওরফে মানু হল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হিমাংশু মন্ডলের ছেলে ও লবণধার গ্রামের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, এরা সকলেই খুনের সাথে সরাসরি যুক্ত বলে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের দাবী।
সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে তিনজনকেই ১৪দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। বিচারক অভিযুক্তদের ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, চঞ্চল বক্সী খুনের ঘটনায় ধৃতরা তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা হওয়ায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি রমেন শর্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তারা বারবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাই বলেছিলেন। পুলিশী গ্রেপ্তারে তাই আরও একবার প্রমাণিত হলো। এইঘটনায় মুখ পুড়ল তৃণমূল নেতাদের।

See also  করোনা প্রতিরোধে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এখন প্রায় দুর্গ, তিন জেলায় মহিলা আইসোলেশন ওয়ার্ড
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---