ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনার জেরে দেশ জুড়ে নাভিশ্বাস সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তার নির্ধারিত কর্মসূচিগুলোকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজে পূর্ব বর্ধমান জেলার লক্ষ্যমাত্রাও প্রায় পূরণ করে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলা আবাস যোজনা খাতে যাঁরা বাদ পড়েছিলেন সেই সমস্ত মানুষদের জন্য ২০১৮ সালেই রাজ্য সরকার চালু করে দিয়েছেন আবাস প্লাস প্রকল্প। আর এবার ৩ বছর পর সেই আবাস প্লাস প্রকল্পের কাজ জোর কদমে শুরু করে দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ।
বিজ্ঞাপন
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, ২০১১ সালে আর্থ সামাজিক সমীক্ষা অনুসারে বাংলা আবাস যোজনার তালিকা তৈরী হয়েছিল। সেই তালিকা অনুসারে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজ চালুও হয়। কিন্তু দেখা যায় বহু মানুষ বাদ পড়েছেন এই প্রকল্পের অধীনে তাঁদের পাওয়ার অধিকার থেকে। বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ২০১৮ সালে আবাস প্লাস প্রকল্পের ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য এই প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারের। বাংলা আবাস যোজনার মতই আবাস প্লাস প্রকল্পেও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং ১৫ হাজার টাকা জবকার্ডের জন্য পাবেন উপভোক্তারা।
সভাধিপতি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৯০ জনের তালিকা তৈরী হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকার এখন স্ক্রুটিনি হবে। কারণ এমন অনেক নাম থাকতে পারে যাঁরা ইতিমধ্যেই বাংলা আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হবে। এরপরই ওই সংশোধিত তালিকা তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে ওই তালিকা অনুসারে উপভোক্তাদের জবকার্ড এবং আধার লিংক করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যদিও তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত জেলার ৪টি ব্লক ছাড়া বাকি সমস্ত ব্লক তাঁদের তালিকা পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই চারটি ব্লককে অতি শীঘ্রই এই সংশোধিত তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত ব্লক থেকে তালিকা আসার পর স্ক্রুটিনির কাজে হাত দেওয়া হবে। আর তারপর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের সুবিধা দেওয়ার অনুমোদন আসলেই প্রথম পর্যায়ের কাজের টাকা দেওয়া শুরু হবে।