রাজনীতি

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের জন্য রেকর্ড পরিমাণ আসন সংরক্ষণ

ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য রেকর্ড পরিমাণ আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সংরক্ষিত আসন তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে ২০১৮ তে যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে মহিলাদের সংরক্ষিত আসন ছিল ৩৪৪৮ টি, সেই সংখ্যা এবার বেড়ে হয়েছে ১৬৯২০ টি। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ২৪৮৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪৯৬ টি আসন। আর জেলা পরিষদে ২৪টি আসন থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪২ টি আসন। সাধারণ শ্রেণীভুক্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে যেভাবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে স্বাধীনতার পরে এই বিপুল পরিমাণ আসন সৃষ্টি করে নারিশক্তিকেই আরো মজবুত করা হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘ মহিলাদের বরাবরই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। সংরক্ষণ দিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মহিলাদের ছবি, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মহিলাদের উচ্চ শিক্ষিত করার চেষ্টা, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সমাজে নারীদের সাবলম্বী করে তোলার প্রচেষ্টা নেত্রী করেছেন। এছাড়াও উনি মনে করেন প্রশাসনে মহিলারা থাকলে স্বচ্ছ প্রশাসন সুষ্ঠু ভাবে কাজ করবে। এটা মমতা বন্দোপাধ্যায় বরাবরই বলে এসেছেন। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে ৫০ শতাংশ মহিলাদের আসন সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে এতে আরও বেশি মহিলা এগিয়ে আসবেন এবং সমাজের ভাল করবেন বলেই আশা করবো।’

যদিও এমন অভিযোগ প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় যে অনেক পঞ্চায়েতেই মহিলা প্রধান থাকলেও বকলমে তাঁদের স্বামী কিংবা আত্মীয়রাই পঞ্চায়েত পরিচালনা করেন। এই প্রশ্নে সাংসদ বলেন, ‘ ৩৪ বছরে নারী শিক্ষায় বা ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট কে আমরা কিছুই করতে দেখিনি। ওরা মুখেই শুধু বলেছে। ওদের যে কমিটিগুলো ছিল সেখানে কোন মহিলা ছিল না। এমনকি ওদের যে সেন্ট্রাল কমিটিগুলো ছিল সেখানেও কোন মহিলা ছিল না। ফলে মহিলারা কার্যত পিছিয়েই ছিল। সুতরাং সেই জায়গা থেকে যদি মহিলাদের তুলে আনতে হয় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সময় লাগবেই। অনেকেই এখন কেউ তাদের স্বামী, বাবা মায়েদর কাছ থেকে শিখছেন।

আজকে লোকসভাতে মহিলা প্রতিনিধির হার ৩৬ শতাংশ। রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে ভারতের যেকোন রাজ্যের নিরিখে এই রাজ্যের মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা সর্বাধিক। আমাদের বক্তব্য সেখানে কেউ লিখেও দেয়না, আমাদের হয়ে বলেও দেয়না। নেত্রী আমাদের যেভাবে শিখিয়েছেন আমরা সেইইভাবেই চলি। ফলে যেটা ৩৪ বছরে হয়নি সেই মহিলাদের স্বনির্ভর করতে কিছুটা সময় তো লাগবেই।’

Recent Posts