মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস ভবনে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভীরবাবু এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কংগ্রেস দলের কাছে কেউই অচ্ছুত নয়। দিল্লীর হাইকমাণ্ড চাইলে যে কোনো দলের সঙ্গেই আপোশ করা হবে। বস্তুত, সোমবার অধীরবাবুর এই নয়া কমিটি ঘোষণার পরই কংগ্রেস শিবিরে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন যে সমস্ত প্রবীণরা জেলা কংগ্রেসকে আগলে রেখেছিলেন তাঁদের অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একেবারে নতুন মুখকে দলের দায়িত্বে নিয়ে আসায় আগামী দিনে পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগবে বলে যুব শিবির উচ্ছ্বসিত হলেও বহু পুরনো কংগ্রেস নেতা এই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন। এমনকি দীর্ঘদিন বাদে এই ঝুঁকিপূর্ণ জেলা কমিটি ঘোষণার পর দলের হাল ফিরবে, নাকি নতুন কোন সমীকরণ তৈরি হবে সেই নিয়েও ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
যদিও নয়া জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি সকলকে নিয়েই চলতে চান। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের তারুণ্যকে যুক্ত করেই জেলা কংগ্রেসকে তিনি চাঙ্গা করতে চান। যদিও এদিন নয়া জেলা সভাপতির সাংবাদিক বৈঠকেই হাজির ছিলেন না বিদায়ী জেলা সভাপতি, কার্য্যকরী সভাপতিরা। প্রভীরবাবু জানিয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরে যুব কংগ্রেস এবং সাম্প্রতিককালে তিনি বর্ধমান শহর সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন।
পেশায় একটি বেসরকারী সংস্থার কর্মী প্রভীরবাবু জানিয়েছেন, রাজনীতিতে কোনো কিছু অসম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে দিল্লীর হাইকমাণ্ড যেরকম নির্দেশ দেবেন তাঁরা সেই পথেই চলবেন। তবে সেক্ষেত্রে নিচুতলার
কংগ্রেস কর্মীদের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ থাকছে। এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দার, বর্ধমান জেলা কংগ্রেসে সংখ্যালঘু সেলের কার্য্যকরী সভাপতি নাজির হোসেন, জেলা কংগ্রেস নেতা রঞ্জিত শীল, সঞ্জয় খান প্রমুখরা।