---Advertisement---

ইউজিসির নোটিসকে ঘিরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরশিক্ষা বিভাগে চরম বিভ্রান্তি, দূর করলেন উপাচার্য

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা দপ্তরকে ঘিরে চুড়ান্ত বিভ্রান্তি দেখা দিল ছাত্রছাত্রী মহলে। বিভ্রান্তি দূর করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৈঠক করলেন দূরশিক্ষা বিভাগের বোর্ড ডিরেক্টরদের সঙ্গে।

বিজ্ঞাপন

 জানা গেছে, বিভ্রান্তির মূল কারণ গত ৭ ডিসেম্বর ইউজিসির দূরশিক্ষা ব্যুরোর পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারীকে কেন্দ্র করে। সেই নোটিশের সঙ্গে একটি তালিকাও প্রকাশ করে জানানো হয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কোন কোন্ বিশ্ববিদ্যালয় এই দূরশিক্ষা কোর্স চালাতে পারবে। ওই তালিকায় ভারতবর্ষের মোট ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হলেও নাম নেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের। পশ্চিমবাংলার দুটি বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে শিলিগুড়়ির নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি এবং মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটিকে ওই তালিকায় রাখা হয়েছে। যেহেতু এই তালিকায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই – তাই স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি চরমে ওঠে। 

উল্লেখ্য, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য ইতিমধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নোটিফিকেশন জারী করা হয়ে গেছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত দুশ্চিন্তায় পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য চলতি বছরে ন্যাকের আসার কথা থাকলেও তাঁরা আসতে পারেনি। অন্যদিকে, ন্যাকের মূল্যায়নের বিচারে ৪ পয়েণ্টের মধ্যে ৩.২৬ না পেলে এই কোর্সের অনুমোদন পাওয়া যায় না। এদিকে, ইউজিসির এই নোটিশকে ঘিরে চুড়ান্ত বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় সোমবারই বৈঠকে বসেন দুরশিক্ষা বোর্ডের সদস্যরা। 
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিমাই সাহা জানিয়েছেন, ওই নোটিশকে ঘিরে একটা বিভ্রান্তি দেখা দিলেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। তিনি জানিয়েছেন, ইউজিসির গাইডলাইন অনুযায়ী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাঁরা আগেই জমা দিয়েছেন। ফলে ছাত্রছাত্রীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। 
তিনি জানিয়েছেন, যথারীতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরশিক্ষা বিভাগের পঠনপাঠন চলবে। প্রসঙ্গত, উপাচার্য জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের প্রায় ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্র তাঁরা সঠিক সময়ে জমা দিতে পারেনি। যদিও এজন্য চলতি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোও হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গত শিক্ষাবর্ষে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাকের মূল্যায়নে আসতে পারেনি কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন সেই সমস্ত (৩৪টি) বিশ্ববিদ্যালয়েরই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। উপাচার্য জানিয়েছেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছাত্রছাত্রীদের এই বিষয়ের কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

See also  অসময়ে বৃষ্টিতে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় পূর্ব বর্ধমানের আলু চাষিরা
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---