ইরাণে আটকে বাংলার ৯জন যুবক, দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি ভারত সরকারের কাছে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:  বাংলার প্রায় ৯জন যুবক ইরাণে একটি সোনারূপার সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে সেখানে কার্যত বন্দিদশা কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি গোটা বিষয়টি নজরে আসে ভারতবর্ষের একটি সংস্থার। আর তারপরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। ন‌্যাশনাল এণ্টি ট্রাফিকিং কমিটির চেয়ারম্যান সেখ জিন্নার আলি গোটা বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই ৯জন যুবককে উদ্ধার করে দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞাপন
তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর কাছে একটি ভিডিও বার্তা এসে পৌঁছায়। ওই ভিডিও বার্তায় বাংলার ৯জন যুবক জানিয়েছেন, তাঁরা প্রায় দেড় বছর আগে ইরাণের কিসমের আলরুশ জুয়েলারী কেসম নামে একটি সংস্থায় কাজ করতে আসেন। কিন্তু গত ৪ থেকে ৬ মাস ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি গত বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের খাবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের পাসপোর্ট, ভিসা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে তাঁরা কার্যত বন্দিদশা কাটাচ্ছেন। অনাহারে তাঁদের শরীরও প্রতিদিনই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমতবস্থায় তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়।

 জানা গেছে, যে ৯ জন বাংলা থেকে গেছেন তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার জানকুল এলাকার বাসিন্দা সেখ মহম্মদ জুলফিকার নামে ওই যুবকও রয়েছেন। এই যুবকেরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কোম্পানী তাঁদের বকেয়া প্রাপ্য দিতে অস্বীকার করায় তাঁরা ইরাণের ভারতীয় দূতাবাসে এবং সেখানকার শ্রম দপ্তরেও অভিযোগ জানান। 

কিন্তু তারাও জানিয়ে দেয় কোনোরকমভাবেই তারা সাহায্য করতে পারবে না। ভারত থেকে টিকিট করে নিজের নিজের দায়িত্বে তারা ভারতে ফিরে যেতে পারে। ওই যুবকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা রীতিমত অসহায় অবস্থার শিকার হয়ে পড়েছেন। একদিকে বিগত কয়েকমাসের যেমন বেতন না পেয়ে আর্থিকভাবে চরম সমস্যায় পড়েছেন সকলে, অন্যদিকে দেশে ফিরে আসার জন্যও ইরান সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না। এমত অবস্থায় দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করা না হলে বেঘোরেই তাঁদের মরতে হবে।

আরো পড়ুন