স্বাস্থ্য

উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫ দফা গাইড লাইন জারি স্বাস্থ্য দপ্তরের

ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্ক: বর্ষশেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। করোনা মোকাবিলায় বুধবার নবান্নে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যসচিব। উপস্থিত ছিলেন সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ আরও অনেকে। সংক্রমণ রুখতে এদিনই ৫ দফা গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য সরকার। বৈঠকে জানানো হয়েছে, চিনে ফের বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। যদিও রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য। তা সত্ত্বেও আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর।

সাধারণত দেখা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে সংক্রমণ নিয়ে বিমানবন্দর হয়েই শহরে বা রাজ্যে আসেন মানুষ। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে নজরদারি আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থলবন্দর এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ়, নাকে দেওয়ার ৫ লক্ষ টিকা এবং ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিন টিকার ডো়জ় রাজ্যের প্রয়োজন বলে কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই আবেদন জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩ লক্ষ কোভিড পরীক্ষার কিট কিনতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বিদেশি-সহ ৩৯টি নমুনা জিন সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের জারি করা ৫ দফা গাইডলাইনগুলি কী কী?

* যে হাসপাতালে পরিকাঠামো নেই সেখানে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। প্রয়োজন হলে পূর্ত দপ্তরের সাহায্য নিতে হবে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেডের বন্দোবস্ত করতে হবে।

* করোনা রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তাই হাসপাতালের প্রতিটি বেডে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে হবে। আশঙ্কাজনক, অতি আশঙ্কাজনক রোগীর কথা মাথায় রেখে সবরকমের বেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

* করোনা মোকাবিলার প্রথম শর্ত তড়িঘড়ি আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই করতে হবে নমুনা পরীক্ষা। সে কারণে প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট মজুত রাখতে হবে। থাকতে হবে আরটিপিসিআর টেস্টের বন্দোবস্ত।
প্রতিটি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে।

* বর্তমানে টিকাকরণে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। তার ফলে ধুঁকছে রাজ্যের বহু টিকাকরণ কেন্দ্র। ফের রাজ্যবাসীকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

 হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতির ক্ষেত্রে জেলাশাসক এবং সিএমওএইচদের সম্পূর্ণরকম সহযোগিতা করতে হবে। হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিত্‍সার বন্দোবস্ত করতে গিয়ে অন্য রোগী যাতে কোনওভাবে অবহেলিত না হন, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যসচিবের।

এদিনের বৈঠকে আরও বলা হয়, করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট BF.7-এর খোঁজ পাওয়া গেলে, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্যদপ্তরে জানাতে হবে।

Recent Posts