ঋণ আদায়ের নামে মহিলাদের অপমান ও অসম্মানের প্রতিবাদে ঋণমুক্তি কমিটির বিক্ষোভ

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার সুদ দিতে গিয়ে চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন শয়ে শয়ে পরিবার। এমনকি মহিলারা বেশিরভাগ অপমানের শিকার হয়ে আত্মহত্যার মত পথও বেছে নিতে চাইছেন অনেক ক্ষেত্রেই। এই অবস্থায় অবিলম্বে সরকারী হস্তক্ষেপ চেয়ে ঋণ মুকুবের দাবীতে আন্দোলন শুরু করেছেন ঋণ মুক্তি কমিটির বর্ধমান জেলা কমিটি।

 কমিটির পক্ষে শ্রীকান্ত রাণা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কোম্পানী তথা মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানীগুলির কাছ থেকে গরিব মানুষেরা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। এমতবস্থায় সংসার চালানোই দায় হয়ে উঠেছে অসংখ্য পরিবারের। কিন্তু তারই মাঝে এই সমস্ত কোম্পানীর এজেণ্টরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সুদের টাকা আদায়ের জন্য রীতিমত জোর জুলুম চালাতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। 

শুধু তাই নয়, ঋণ আদায়ের জন্য ঋণ গ্রহীতা মহিলাদের অশালীন ও কটুক্তি করতেও এজেণ্টরা পিছপা হচ্ছেন না। ফলে সামাজিক সম্মান প্রতি মুহূর্তে ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। শ্রীকান্তবাবু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার লকডাউন পরিস্থিতিতে ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকি সুপ্রীম কোর্টেও এব্যাপারে মামলা চলছে। এমতবস্থায় এই জোরজুলুম চলায় যে কোনো মুহূর্তে এলাকায় এলাকায় জনরোষ সৃষ্টি হতে পারে।

 তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে সরকারী হস্তক্ষেপে এব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা দাবী করেছেন, গ্রামীণ গরীব মেহনতীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং বন্ধন সহ সমস্ত ঋণদানকারী সংস্থার ঋণ মুকুব করতে হবে। সমস্ত ঋণের দুই বছর কিস্তি আদায় স্থগিত রাখতে হবে। এই সময়ের অতিরিক্ত সুদ মুকুব করতে হবে। ঋণগ্রস্থ মহিলাদের অসম্মান ও অপমান ও হেনস্থা বন্ধ করা, কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ ও ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরী, ব্যক্তি পিছু জবকার্ড প্রদান করা সহ গরীব মেহনতী পরিবারের একাউণ্টে ১০ হাজার টাকা লকডাউন ভাতা প্রদান প্রভৃতির দাবী জানানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছে।

Recent Posts