একলাফে পূর্ব বর্ধমানে মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত ৯৯জন, জরুরি বৈঠক প্রশাসনের

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আশঙ্কা ছিলই, আর সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করে করোনা তৃতীয় দফাতেও ফের দাপটে ব্যাটিং শুরু করল। কেবল মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে করোনার রানের সংখ্যা ৯৯। শুধু বর্ধমান শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৯জন। প্রসঙ্গত নতুন বছরের শুরু থেকেই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাই একলাফে বেড়ে গিয়ে সেঞ্চুরির পথে। আতঙ্কের বিষয়, খোদ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী মিলিয়ে জেলার ১২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। 

যার ফলে চিন্তা আরো বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের। এদের মধ্যে বর্ধমান ১, মেমরি ২, মঙ্গলকোটের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রয়েছেন। বর্ধমান কৃষি ভবন করোনা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার রয়েছেন। এছাড়াও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকও সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিনই কোভিড টাস্ক ফোর্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ৯৯ জন। গত কয়েকদিনে জেলায় ১৬৯জন সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে বর্ধমান পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যাই অত্যাধিক, ৫৯জন। মঙ্গলবার অন্যান্য পুর এলাকার মধ্যে কাটোয়ায় ৫ জন, মেমারিতে ৪জন ও দাঁইহাট পুর এলাকায় ১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে।

 জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিদিন বেড়ে চলা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার কোভিড টেস্টের সংখ্যা প্রতিদিন আরো বাড়ানো হচ্ছে, ১৫-১৮ বয়সীদের টিকা দেওয়ার জন্য ক্যাম্প বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মী ও বয়স্কদের বুস্টার ডোজ শুরু করা হবে খুব শীঘ্রই। এছাড়া, ব্লক ও মহকুমা এলাকায় সেফ হোমের জন্য জায়গা চিহ্নিতকরণ করে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, এদিন জেলা থেকে গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রামণের খবর পাওয়া গেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর যেকোনো রকমের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তিনি জানিয়েছেন, এরই মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর । তবে আতঙ্কিত হওয়ার থেকে সবাইকে আরো সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, মুখ, নাক মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে সকলকে।

Recent Posts