একসঙ্গে ২৪টি বিষধর কেউটের বাচ্চা উদ্ধার,আতঙ্ক ভাতারে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: একই জায়গা থেকে একসঙ্গে উদ্ধার হল ২৪টি মোনক্লেড কোবরা অর্থাৎ বিষধর কেউটে সাপের বাচ্চা। এর মধ্যে ৯টি ডিমও রয়েছে। যদিও মা কোবরা টিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনা টি ঘটেছে ভাতারের রামকৃষ্ণ পল্লীর বাসিন্দা অরূপ দের বাড়িতে। তবে বেশ কয়েকমাস ধরে যে তারই বাড়ির অব্যবহৃত গ্যারেজে মূর্তিমান মৃত্যু বাসা বেঁধে রয়েছে, সে কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি অরূপ বাবু। 

শুত্রুবার হঠাৎই তাঁর নজরে আসে গ্যারেজের এক কোনে সাদা রঙের কয়েকটি ডিমের মতো বস্তু। সন্দেহ হওয়ায় কাছে গিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ। কিলবিল করছে কুচকুচে কালো বাচ্চাগুলো। গোটা বিষয়টা বুজতে পেরেই অরূপ বাবু তার প্রতিবেশী সর্প বিশারদ তথা পরিবেশ প্রেমী হুমকুমার রানা কে ঘটনার কথা জানান। তিনি এসে গ্যারেজের চারপাশ পর্যবেক্ষণ করার পর অতি যত্নসহকারে সদ্য ডিম ফুটে বেরোনো বেশ কয়েকটি কেউটের বাচ্চা কে কাঁচের বয়ামে পুরে ফেলেন। এরপর ফোন করেন বর্ধমানের সোসাইটি ফর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এর সদস্য অর্ণব দাস কে। অর্ণব বাবু তড়িঘড়ি সংস্থার অন্য আরো দুজন সদস্য কে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভাতারের উদ্যেশ্যে। তাঁরা পৌঁছে সযত্নে ৯টি ডিম সহ বাকি কেউটের বাচ্চাগুলোকে বোতল বন্দি করে ফেলেন।
অর্ণব দাস জানিয়েছেন, মোট ৯টি ডিম সহ ১৫টি মোনক্লেড কোবরার যাকে বাংলায় কেউটে সাপ বলা হয় তার বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কেউটে বিষধর সাপেদের মধ্যে অতি ভয়ংকর প্রজাতির। এদের মাথার উপর সাদা রঙের একটি চক্র থাকে, এই চিহ্ন দেখেই এই সাপেদের সহজেই চিনতে পারা যায়।
তিনি জানিয়েছেন, এই সময়টা সাপের ডিম ফোটার সময়। সম্ভবত প্রায় দু তিনমাস আগেই এই গ্যারেজে ডেরা বেঁধেছিল মা কেউটে টি। তবে ডিম ফোটার সাথে সাথেই মা কেউটে কোথাও চলে গিয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অনুমান করছেন। অর্ণব দাস জানিয়েছেন, উদ্ধার করা কেউটের সবকটি বাচ্চাই সুস্থ আছে। সব কটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পর পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে উপযুক্ত জায়গায় সাপের বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হবে।