একইসঙ্গে অক্সিজেন, স্যানিটাইজার প্রভৃতি সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। আশীষ বাবু জানিয়েছেন, যেহেতু সংশোধনাগারেই মাস্ক তৈরী হচ্ছে তাই মাস্কের কোনো অপ্রতুলতা নেই। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত একজনের করোনা রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য আরও একজনের জ্বর আসায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এদিন পাঠানো হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি করে নিয়েছেন। এখনও তাঁর রিপোর্ট আসেনি।
উল্লেখ্য, সোমবার বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন মোট ১০৮৬ জন। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদের থাকার নির্ধারিত মাপকাঠি ৯১৫ জন। আশীষবাবু জানিয়েছেন, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আগাগোড়াই বন্দিদের একটি চাপ থাকে। তা সত্ত্বেও তাঁরা প্রতিমূহূর্তে করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে চলেছেন। এদিকে, জেলখানা সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের হার দ্রুতহারে বাড়তে থাকায় ক্যাম্প করে সংশোধনাগারের বন্দিদের ভ্যাকসিন দেবার আবেদন জানানো হয়েছিল জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে। প্রায় দিন সাতেক আগে এই আবেদন জানানো হলেও স্বাস্থ্যদপ্তর তাতে কান দেয়নি। বিকল্প হিসাবে প্রতিদিন ১০জন বন্দিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দেবার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে মোট ৩০জনকে।
এব্যাপারে আশীষবাবু জানিয়েছেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ক্যাম্প করে যাতে সকলকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। কিন্তু তা না হওয়ায় এখন ১০জন করেই তাঁরা বন্দি পাঠাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সমস্ত বন্দিদের এই ভ্যাকসিন দিতে যে সময় লাগবে তার মধ্যে সংক্রমণ বাড়বে কিনা তা নিয়েও কার্যত চিন্তা দেখা দিয়েছে। কারণ ১০জন করে প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হলে প্রায় এক হাজার জনকে ভ্যাকসিন দিতেই লাগবে প্রায় ১০০দিন, অর্থাত প্রায় ৩ মাসেরও বেশি। যা নিয়েই চিন্তা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কোনো বন্দি আক্রান্ত হননি। কিন্তু এবার উপসর্গহীন হিসাবে একজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বেড়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের। এরই পাশাপাশি আরও চিন্তা বেড়েছে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেরীতে আসা নিয়েও। আশীষবাবু জানিয়েছেন, করোনা পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত চাপের কারণে এই রিপোর্ট আসতে এখন ৪-৫দিন সময় লাগছে। ফলে তার মধ্যে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকছে।