কংগ্রেসে এখন রাজনৈতিক অভিভাবকের অভাব – অভিজিত মুখোপাধ্যায়

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: কংগ্রেসে এখন সেরকম কেউ নেই যাঁর কাছ থেকে গাইডলাইন পাওয়া যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় যদি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, নুরুল ইসলামের মত নেতৃত্বরা থাকতেন তাহলে হয়ত বাংলার কংগ্রেস চলার পথের দিশা পেতে পারতেন। শনিবার বর্ধমান শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে অসংগঠিত শ্রমিক কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে প্রয়াত নুরুল ইসলামের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছিল একটি স্মরণ সভা। এই স্মরণসভায় উপস্থিত হন প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে প্রাক্তন সাংসদ 

তথা কংগ্রেসের প্রচার কমিটির সদস্য অভিজিত মুখোপাধ্যায়।

অন্যান্যদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন অসংগঠিত জেলা শ্রমিক কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুদীপ মজুমদার সহ জেলা কংগ্রেস নেতা তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা নুরুল ইসলামের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বোরসেদ আলি, গণেশ দাস,চঞ্চল মণ্ডল, জয়ন্ত কর্মকার, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল মহাদেব সাঁতরা প্রমুখরাও। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রয়াত নুরুল ইসলামের সংগ্রামী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন অভিজিতবাবু। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এদিন বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত অল্প সময়ের। তবে এই সময়কালে কংগ্রেস যদি এককভাবে প্রার্থী দিত তাহলে কংগ্রেসের সংগঠন আরও বাড়তে পারত বলেই তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত।

একইসঙ্গে এবারেও বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চায় আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেস থাকা নিয়ে যে কংগ্রেস কর্মী মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস আইএসএফের সঙ্গে কোনো জোট বাঁধেনি। বাধ্যবাধকতার রাজনীতির অঙ্গ হিসাবেই বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তবে সবটাই নির্ভর করছেন জনগণের ওপর। জনগণ কিভাবে এই জোটকে নিচ্ছে তা জানা যাবে আগামী ২ মে। এক প্রশ্নের উত্তরে অভিজিতবাবু জানিয়েছেন, জোটের বিষয়টি হাইকমাণ্ড স্থির করেন না। তাঁরা আঞ্চলিক স্তরেই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন।

এখানকার নেতৃত্বরা চেয়েছেন তাই এই জোট হয়েছে। অভিজিতবাবু জানিয়েছেন, কংগ্রেস ১৩০ বছরের দল। অনেকে এসেছেন আবার অনেকে চলে গেছেন। কিন্তু চলতি সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছিল তাঁর বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, নুরুল ইসলামদের মত নেতৃত্বের। তাঁরা এখন থাকলে তাঁরাই দিশা দেখাতে পারতেন। পাশাপাশি তিনি এদিন জানিয়ে যান, ২০২১-এ সরকার গড়বে এই সংযুক্ত মোর্চাই।