কবে পুর নির্বাচন তারই ঠিক নেই, প্রচার শুরু তৃণমূল নেতার, শোরগোল মেমারিতে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারী: রাজ্যের ৪টি পুরনিগমের ভোট আগামী ১২ফেব্রুয়ারি। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুর নিগমের ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্যের পুরসভাগুলির নির্বাচনের এখনো কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কবে হতে পারে তারও কোনো আভাস নেই। আর এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভা এলাকায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শুরু হয়ে গেল পাড়ায় পাড়ায় প্রচার।

মঙ্গলবার মেমারি পুরসভার ৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ ভোটারদের দরজায় দরজায় হাজির হয়ে আসন্ন পুর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য আবেদন জানালেন মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি স্বপন ঘোষাল। আর এরপরই শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উল্লেখ্য গত ২০১৫ সালে শেষবার এই পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। আর সেই নির্বাচনে এই ৪নং ওয়ার্ড হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। জাতীয় কংগ্রেস জিতেছিল এই ওয়ার্ডে। আর সেবার এই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন স্বপন ঘোষাল নিজেই।

এদিকে মেমারির বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, এতো ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল’ দেওয়ার মতো কান্ড। কবে ভোট তারই ঘোষণা হলো না, প্রার্থীরাই বা কারা – তাও ঘোষণা নেই, এদিকে দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে রীতিমত তৃণমূল কংগ্রেস কে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে শাসক দলের নেতারা বেরিয়ে পড়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। অন্যদিকে অনেকেই এই ঘটনা খোদ শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠী লড়াইয়ের ফল বলেই মত প্রকাশ করেছেন।

যদিও স্বপন ঘোষাল জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা,কর্মী, সমর্থকরা সারাবছরই সাধারণ মানুষের সাথে এবং পাশে থেকে কাজ করে। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৪টি সামাজিক প্রকল্পের আয়তায় সাধারণ মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দিতে সারাবছর রাস্তায় নেমে জনসংযোগ রক্ষা করে। এমনকি অতিমারী করোনা কালেও রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা গরিব, দুস্থ মানুষ থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করে গেছে। যেখানে বিরোধীদের দেখা পাওয়া ছিল ডুমুরের ফুলের মতোই।

 তিনি জানিয়েছেন, আজ নয়তো কাল পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর সামাজিক প্রকল্পগুলোর সুবিধা ও সুফল জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে যে যেই ওয়ার্ডের প্রার্থী মনোনীত হোক তাঁকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে মেমারি পুরসভার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। স্বপন ঘোষাল জানিয়েছেন, বিরোধীরা হলো ভোট পাখি, ভোট ঘোষণা হলেই পরিযায়ীর মতো উড়ে এসে জুড়ে বসে। কাজের কাজ সারাবছর কিছুই করে না, শুধু যাঁরা সারাবছর মানুষের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে তাঁদের কুৎসা করাই একমাত্র লক্ষ্য। তবে তিনি জানিয়েছেন, এবার মেমারী পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডেই জিতে বিরোধীশুন্য পুরসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে উপহার দেবেন। 

Recent Posts