করোনাকে মান্যতা দিয়েই রীতি মেনে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ঘট প্রতিষ্ঠা হল
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে দীর্ঘদিনের রীতি মেনে শনিবার সকালে ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে এবছরের দুর্গোৎসবের সূচনা হলো। হোম যজ্ঞের মধ্য দিয়ে নবরাত্রি পুজোর সূচনা হল।
শনিবার সকালে সর্বমঙ্গলা মন্দির থেকে মায়ের রূপোর ঘট নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাক বাজনা সহ ঘোড়ায় টানা রথের ওপর বিশেষ ছাতার তলায় ঘট নিয়ে বসেন পুরোহিতরা। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা গেল প্রতিবারের মতই কৃষ্ণসায়রে। সেখানে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ঘট জলপূর্ণ করেন। এরপর তা নিয়ে এসে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। ছিলেন জেলার পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
অন্যান্যবার মহালয়ার পর প্রতিপদে ঘট উত্তোলনের শোভাযাত্রায় অগণিত বাসিন্দা ভিড় করেন। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় ছিল অনেক কম। করোনাজনিত কারণে এবার মন্দির কর্তৃপক্ষও ছিলেন রীতিমত সজাগ। কোনোভাবেই যাতে ভিড় না হয় সেজন্য আমন্ত্রণও ছিল একেবারে হাতেগোণা। বর্ধমান রাজ প্রতিষ্ঠিত মা সর্বমঙ্গলাকে রাঢ়বঙ্গের দেবী বলা হয়। প্রাচীন রীতি মেনেই এই মন্দিরের পুজোর নির্ঘণ্ট মেনে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ রাঢ়বঙ্গের বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
আগে কামানে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে সন্ধিপুজোর সূচনা হত। তোপধ্বনি শুনে বাকি পুজোর সন্ধিপুজো শুরু হতো। প্রায় তিন দশক আগে সন্ধিপুজোর সূচনায় সেই কামানের বিস্ফোরণ ঘটে। অনেকে হতাহত হন। তার পর থেকে পল গুনেই সন্ধিপুজো শুরু হয়। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাষ্ট কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, এবার এই করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। মুখে মাস্ক থাকলে তবেই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। থাকছে স্যানিটাইজার। সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাই যাতে পুজো দিতে পারেন তার ব্যবস্হা হচ্ছে।