বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গত ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এবছরের অরণ্য সপ্তাহ অভিযান। কিন্তু করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য এবছর অন্যান্যবারের তুলনায় গাছ নেবার তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে না পড়ায় হতাশ নার্শারির কর্মীরা। উল্লেখ্য, আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই অরণ্যসপ্তাহ অভিযান। উল্লেখ্য,
এবছর ২০ জুলাই পূর্ব বর্ধমান জেলার বনমহোৎসব উৎসবের মূল অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে গলসি-২ ব্লকের কুলগড়িয়া গার্লস হাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে।
বর্ধমান বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বনদপ্তর থেকে প্রতিবারই যেভাবে সাধারণ মানুকে বিনামূল্যে গাছ বিতরণ করা হয়, এবছর তার ব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই উৎসাহ দেখা যায়নি। যদিও জানা গেছে, এবছর বিতরণের জন্য প্রায় ১৫ হাজার গাছের চারা তৈরী রাখা হয়েছিল। গত ৪ দিনে মাত্র ২০০জন গাছের চারা নিয়েছেন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই আলাদা আলাদা করে তাঁদের কাছে গাছের চারার জন্য আসছেন। তাঁদের ফেরানো হচ্ছে না। বিনামূল্যে প্রত্যেককে ৫টি করে বৃক্ষ জাতীয় গাছের চারা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁরা আশা করছেন বাকি তিনদিনে আরও দু আড়াইশো জন গাছের চারা নিয়ে যাবেন।
এরই পাশাপাশি বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি জানিয়েছেন, এবছর সরকারীভাবে প্রায় ৩ লক্ষ ৮ হাজার গাছের চারা তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ গাছ নার্সারিদের দেওয়া হয়েছে।বাকি গাছের মধ্যে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতকে ২০০০ গাছ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও ১০০টি করে গাছ দেওয়া হচ্ছে। এরই পাশাপাশি এবছর করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রত্যেক বিধায়ককে ১০০০টি চারাগাছ দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে থাকছে বিভিন্ন ধরণের ফলের গাছও।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য এবছর গোটা জুলাই মাস জুড়েই চারাগাছ বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি জেলা স্কাউট এণ্ড গাইড সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার থেকে শুরু হল চারাগাছ বিতরণ কর্মসূচী। এদিন বর্ধমান শহরের কার্জনগেটের সামনে সাধারণ মানুষকে চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও শনিবার থেকে বর্ধমান ও গলসী এলাকার কিছু স্কুলের হাতেও চারাগাছ দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।