ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনাকালে এম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে কোনোরকম অনৈতিক ঘটনা ঘটলে জেলা প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে। এম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে জেলা প্রশাসন কড়া নজরদারীও শুরু করেছেন। কোথাও কোনো অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সোমবার জানিয়ে গেলেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। এদিন তিনি বর্ধমানে আসেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করতে। ধেয়ে আসছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। আর সেই তৃতীয় ঢেউকে রোখার জন্য জেলা প্রশাসন কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা খতিয়ে দেখতে সোমবার বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল বৈঠক করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে।
বিজ্ঞাপন
এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অনির্বাণ কোলে, জেলা মুখ্যস্বাস্থ্যাধিকারিক ডা. প্রণব রায় সহ বোলপুর লোকসভার অন্তর্ভুক্ত আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, কেতুগ্রামের বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজ এবং মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। এদিন অসিতবাবু জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি খুশী। কিন্তু এখনও যেহেতু ভ্যাকসিনের যোগান প্রত্যাশিত নয়, তাই তাঁরা কিছুটা চিন্তিতও। তবুও সবরকমের প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যেহেতু বলা হচ্ছে শিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়তে পারে সেজন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০টি বেড করা হয়েছে। কালনা মহকুমা হাসপাতালেও ৪০টি বেড রাখা হয়েছে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালেও রাখা হয়েছে ১০টি বেড। অসিতবাবু জানিয়েছেন, এদিন করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি পর্যালোচনা করা হয়েছে ১০০দিনের কাজ এবং ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক বিষয় নিয়েও। তিনি জানিয়েছেন, করোনার জন্য ১০০ দিনের কাজে ব্যাঘাত হয়েছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে ১০০দিনের কাজ শুরু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, এদিন অসিত মাল জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। যাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই দলীয় নেতৃত্বরা তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তার পরেও একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মিথ্যা কিছু অভিযোগ করা হচ্ছে যার ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই কোনো বাস্তবতা নেই। তিনি জানিয়েছেন, অনেকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত তাই তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভোটের অনেক আগে থেকেই। আইনানুসারে তাঁদের অপরাধের জন্য পুলিশ তো গ্রেপ্তার করবেই। কিন্তু এই বিষয়টিকেও ভোট পরবর্তী হিংসার কারণ হিসাবে দেখানো হচ্ছে।