বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের মধ্যে টানা বন্ধ থাকার পর সপ্তাহে দুদিন অর্থাৎ সোমবার ও শুত্রুবার খোলা থাকবে এই মর্মে গত ১৫জুন থেকে খুলেছিল বর্ধমান জেলা আদালত। আর সোমবার সকালে যথারীতি আদালত খুলতেই বিচারপ্রার্থীদের যেভাবে ভিড় উপচে পড়ল আদালত চত্বরে তাতে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আইনজীবী,মুহুরী থেকে বিচারপ্রার্থীদের একাংশ। সোমবার জেলা আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত থেকে জেলা জজ কোর্টের ষষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে এদিন ভিড় উপচে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্যানিটাইজার অথবা মাস্ক ব্যবহারের নিয়মকে এদিন কার্যত শিকেয় তুলে দিয়ে নজির সৃষ্টি করে দিলেন বিচারপ্রার্থীরা।
কিন্তু যেভাবে এদিন আদালতে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ল তা নিয়ে অধিকাংশ আইনজীবীরা শুধু আতংকিতই নয়, রীতিমত ভয়ে রয়েছেন বলে আইনজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন । উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বর্ধমান জেলা আদালতের বার এ্যাসোসিয়েশনে স্যানিটাইজার টানেল বসানো হয়েছে। কিন্তু আইনজীবীদের সেরেস্তাগুলোতে ভিড় সামলানোর কোনো ব্যবস্থাই এদিন চোখে পড়েনি। পাশাপাশি মামলা, মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজে আসা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষদের বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না। স্যানিটাইজেশনেরও কোনো ব্যবস্থা এদিন দেখা যায়নি। সর্বোপরি সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নিয়মবিধি কে কার্যত থোড়াই কেয়ার করেছেন আদালতে আসা মানুষজন।
প্রসঙ্গত যেভাবে এদিন আদালতের কক্ষে কক্ষে ভিড় উপচে পড়েছে তাতে যে কোনো মূহূর্তেই করোনা সংক্রমণ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আইনজীবী গুরুদাস ব্যানার্জি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা যেমন বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন, তেমনি আদালতের বিচারকদের দৃষ্টিও তাঁরা আকর্ষণ করবেন। এভাবে চলতে থাকলে যে কোনো মূহর্তেই ভয়াবহ বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। কারণ এদিন দেখা গেছে, ভিড়ে ঠাসাঠাসি, গাদাগাদি করে বিচারপ্রার্থীরা হাজির হলেও তাঁরা সামাজিক দূরত্ব মানেননি। এমনকি সিংহভাগ মানুষই এদিন মাস্ক ছাড়াই হাজির হয়েছিলেন।