করোনার জের, ১০০ দিনের কাজে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঝাঁপালো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:একদিকে করোনা, অন্যদিকে নির্বাচন – জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়েছে গত কয়েকমাস ধরে ১০০ দিনের প্রকল্প। আর তাই চলতি জুন মাস থেকেই গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে ১০০ দিনের কাজে গতি আনার উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ এবং এমজিএনআরজিএস বিভাগ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক কাজল কুমার রায় জানিয়েছেন, করোনার জেরে চলতি আর্থিক বছরে ব্যাপক মার খেয়েছে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ। এরই পাশাপাশি সাধারণ নির্বাচন থাকায় তারও প্রভাব পড়েছে এই প্রকল্পের কাজে। কিন্তু যেহেতু জেলার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালোর দিকে এবং নির্বাচন পর্বও মিটে গেছে তাই বিগত কয়েকমাসের লক্ষ্যমাত্রাগুলি পরবর্তী মাসগুলির মধ্যে পূরণ করার লক্ষ্য নিয়েই তাঁরা এই কাজে জোর দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরী করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত মে মাসে মাত্র ৭ লক্ষ ৭০ হাজার শ্রমদিবস তৈরী করা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, গড়ে প্রতি মাসে ১৩ লক্ষেরও বেশি শ্রমদিবস তৈরীর লক্ষ্য নেওয়া হলেও যেহেতু বিগত কয়েকমাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, তাই চলতি জুন মাসের মধ্যে ৪০ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই সমস্ত বিডিওকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, চলতি বর্ষার মরশুমে যে ধরণের কাজগুলি এই ১০০ দিনের প্রকল্পে করা যাবে তার রূপরেখা তৈরী করে করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে দ্রুত কাজে নেমে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে নদী বাঁধ, ক্যানেল বাঁধ নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, জলনিকাশী নালা তৈরী করা প্রভৃতি। উল্লেখ্য, করোনা আবহের জেরে বিশেষত দিনমজুরদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় এলাকায় ১০০ দিনের কাজ শুরু হয়ে গেলে তাতে উপকৃত হবেন জবকার্ডধারীরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, গতবছর করোনা মহামারীর সময়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলার সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে জবকার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। গতবছর থেকে তাঁদেরও ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১৭ হাজারের কাছাকাছি পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়াও যাঁরা আগেই জবকার্ড পেয়েছেন তাঁদেরও কাজ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এরফলে তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে। সভাধিপতি জানিয়েছেন, গোটা জেলা জুড়েই সমস্ত ব্লক তথা পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমেই।