বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান: অদ্ভুতভাবে শিহরিত হল গোটা ভারতবর্ষের মানুষ। অজানা ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ংকর শত্রুকে হারাবার জন্য যেভাবে রবিবার রাতে বর্ধমান শহরের রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে, বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বেলে আবার কেউ মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বেলে করোনাকে ধ্বংস করার ব্রত নিলেন তা একেবারেই অনন্য নজীর। যা সাম্প্রতিক যুগে ঘটেনি।
বর্ধমান শহরও এদিন করোনার বিরুদ্ধে সেই জেহাদেই একযোগে সামিল হলো – আমরা করোনাকে হারাবই। রাত্রি ৯ টা বাজতে না বাজতেই চারিদিকে বেজে উঠল মঙ্গল শংখধ্বনি। হুঁশিয়ারী দেওয়া হল ভারতীয় সংস্কৃতি, শক্তি আজও অটুট। কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়াই চলবে করোণাসুরকে শেষ না করা পর্যন্ত। কিন্তু কেন এই ব্রত?
কেউ কেউ অবশ্য এর ব্যাখ্যায় বলছেন, একসাথে ১৩০ কোটি প্রদীপের জন্য সর্ষের তেল আর মোমবাতি জ্বালালে ভারতের উষ্ণতা বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে আনুমানিক 30℃ থেকে 40℃ বৃদ্ধি পাবে। এবং হু এর রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনা ভাইরাস 30℃ এর উপরে বাঁচতে পারে না। আর মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালার কারণে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর সাথে সাথে কয়েকটা কেমিক্যাল নির্গত হয় যেমন বেঞ্জিন, টলুইন, হাইড্রোকার্বন। যার মধ্যে নাইট্রোজেন আর অক্সিজেন ও থাকে। অক্সিজেন আমাদের বাঁচার জন্য দরকারি।
কারণ অক্সিজেন ছাড়া আমরা মরে যাবো। Scientific American Research on Covid-19 এর বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় দেখা যায় করোনার ভাইরাস বেঞ্জিন এর সংস্পর্শে আসলে করোনার জীবনকাল এর আয়ু ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং দু থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাস টি মরে যায়। আর টর্চের মধ্যে ব্যাটারির ভিতর কোটি কোটি ইলেকট্রন যখন কোটি কোটি প্রোটন দ্বারা ধাক্কা খায় তখন ইলেকট্রন গুলো প্রচুর পরিমানে চার্জড হয়ে যায় এবং ঐ প্রবল পরিমান এনার্জি আলোকশক্তির আকারে ফিলামেন্ট বা LED এর মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে আলোর গতিতে।
বাতাসে ভেসে থাকা করোনা ভাইরাস গুলো যদি আলোর গতিতে ছিটকে আসা প্রোটন কণার সাথে ধাক্কা খায় সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের বাইরের প্রোটিন ও ফসফোলিপিডের কঠিন স্তর ভেঙে যাবে। এই ভাইরাসের বাইরের আবরণ যাকে ক্যাপসিড বলা হয় বিজ্ঞানের ভাষায়, এই ক্যাপসিডই করোনা ভাইরাস কে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে দীর্ঘদিন। বাইরের এই আবরণ টির কারণেই কোনো ওষুধ কার্যকরী হয়নি ভাইরাস টির উপর। কিন্তু একবার যদি প্রোটন কণা দিয়ে ভাইরাস গুলিকে আলোর গতিতে আঘাত করানো হয়, তাহলে ভাইরাসের বাইরের কঠিন আবরণ ক্যাপসিড ভেঙে যাবে। তখন করোনা ভাইরাস কে আমরা সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবো।