ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া: কাটোয়ায় মালঞ্চ থেকে দেয়াসিন যাওয়ার সেতু তৈরির কাজ পরিদর্শন করতে এসে গ্রামবাসীদের চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সংসদ সদস্য সুনীল মণ্ডল। বুধবার সেতু তৈরির কাজের টাকা না পেয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ সুনীল মণ্ডলকে দেখে গো-ব্যাক স্লোগান থেকে শুরু করে চোর অপবাদ দিয়ে গ্রাম থেকে কার্যত বের করে দিলেন।
এ বিষয়ে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের কি চুক্তি হয়েছিল তা তিনি জানেন না। যদিও ওই ঠিকাদার এখন আর কাজ করছে না। ঠিকাদার জানিয়েছে, কয়েকজন দু’ চার লক্ষ টাকা পাবেন। আর গ্রামবাসীরা বলছেন তাঁরা ২০ লক্ষ টাকা পাবেন। সাংসদ বলেন, জেলাশাসককে তিনি বলেছিলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই ঠিকাদারের ঠিক গন্ডোগোল হয়েছে তা মিটিয়ে দিতে। এরমধ্যে আর তো তিনি ছিলেন না। তিনি শুধু কাজের কাগজ পত্র সই করতে পারেন, এর বেশি ক্ষমতা তাঁর নেই। সুনীল বাবু আরও বলেন, তিনি তৃণমূল দলের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য বিজেপি তে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা মিটে গিয়েছে। তিনি এখন তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন।
জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঝুলে আছে মালঞ্চ থেকে দেয়াসিন যাওয়ার সেতু তৈরির কাজ। ঠিকাদার বদলেও কাজ শেষ করতে না পারায় যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাংসদ তহবিল থেকে এই মালঞ্চ সেতু তৈরির জন্য ২০১৮ সালে দু’কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ব্রাম্ভনী নদীর উপরে কয়েকটি পিলার তৈরির কাজ করা হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই কাজ ছেড়ে দেন। এরপরে সেতু নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে এই কাজের বরাত নেন অন্য ঠিকাদার।
বুধবার দুপুর নাগাদ সেতুর একটি ঢালাই এর কাজ পরিদর্শন করতে যান সুনীল বাবু। তখনই গ্রামের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তারপর তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। এদিন গ্রামের বাসিন্দা আশীষ কুমার মণ্ডল বলেন, গ্রামে অনেক শ্রমিক কাজ করে টাকা পাননি। সুনীল বাবু তাদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও দেন নি।