বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: কেউই বাদ যাচ্ছেন না! এবার বর্ধমানে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতির শিকার গোলাপ ফুল বিক্রেতারাও। কিন্তু কেন?
জানা গেছে, গত বছরের এই সময়েই হু হু করে বিক্রি হয়েছিল বান্ডিল বান্ডিল সস্তার গোলাপ। যেখানে ভ্যালেন্টাইন ডে তে যে গোলাপ দামের কারণে ছুঁতে পারেনি অনেকে, তারাই মাত্র ৩০ টাকায় ৫০টি গোলাপ হাতের নাগালের মধ্যে পেয়ে যে পেরেছে সেই অকাতরে কিনে নিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে ক্রেতা প্রেমিক প্রেমিকাই হোক বা অফিস ফেরত নারী পুরুষ কেউ বাদ ছিলেন না। কেউ তাঁর কাছের মানুষকে উপহার দিতে, আবার কেউ কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির ফুলদানির শোভা বর্ধন করতে। কিন্তু এবছর অঙ্ক পাল্টে গেছে। পাল্টে গেছে পরিবেশ পরিস্থিতিও।
বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ এলাকার কৃষ্ণসায়র পার্কের বাইরে ঠেলা ভ্যান ভর্তি টাটকা তাজা গোলাপের পসরা নিয়ে এবারও হাজির হয়েছেন সুদূর নদিয়ার রানাঘাট থেকে গোলাপ ফুল বিক্রেতা বিমল মল্লিক। দাম সেই একই। ৩০ টাকায় ৫০পিস, ১০০ পিস ৬০ টাকা। তবু মুখ ভার বিক্রেতার।
বুধবার দুপুরে দু একজন গ্রাহক কে ফুল বিক্রি করার সময় জানতে চাওয়া হলো – দাদা এবছর কেমন বিক্রি হচ্ছে? প্রশ্ন শেষ না হতেই উত্তর এলো, ‘কি যে হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’ বিমল বাবু আরও বললেন, করোনা এবছর ব্যবসার সব শেষ করে দেবে মনে হচ্ছে। কিছুই তো খোলা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়, হোস্টেল, রমনা বাগান পার্ক থেকে খোদ কৃষ্ণসায়র পার্ক – সবই তো বন্ধ। কিনবে কে? সাধারণ মানুষই যদি রাস্তায় না বেড়োয় গ্রাহক পাবো কোথা থেকে।
বিমল মল্লিক জানালেন, গত বছর সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে যে পরিমান ফুল বিক্রি হতো,এবার তার ১০শতাংশ বিক্রি নেই। এদিকে যে কজন ক্রেতা ফুল নিতে আসছেন তাঁরা টাটকা ফুলই খুঁজছেন। প্রতিদিনের তাজা ফুল যদি রোজ বিক্রি না হয় তাহলে এবছর লোকসান ছাড়া অন্যকিছুর মুখ দেখা সম্ভব নয়। অন্যদিকে কমবয়সী কিছু ক্রেতা জানিয়েছে, ফুল কিনে সেটা মনের মানুষ কে দেবার জায়গাই তো বন্ধ। তাহলে আর ফুল কিনে কি করবো। পাশাপাশি কিছু মানুষ কিন্তু গোলাপের প্রতি স্বাভাবিক অকৃষ্টতা থেকেই এই পথ দিয়ে ফেরার পথে নাগালের মধ্যে থাকা দামে দু এক বান্ডিল গোলাপ নিয়েই ফিরছেন বাড়ি।