খন্ডঘোষের দীঘির জলে জাল ফেললেই আটকে যাচ্ছে মাছ ধরার জাল, রহস্য বাড়িয়ে কি তুলে আনলেন জেলেরা?

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: মাছ ধরার জাল ফেললেই দীঘির জলের তলায় জাল কিছুতে আটকে যাচ্ছে। জেলেরা প্রায়ই টানাটানি করে জাল ছিঁড়ে টেনে পাড়ে তুলে আনছেন। বারবার একই ঘটনা ঘটলেও তারা বুঝতে পারছিলেন না রহস্যটা কি। জলের তলায় জাল কোথায় আটকে যাচ্ছে। অবশেষে শনিবার সেই রহস্যের উদঘাটন হল। 

এদিন সকালে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লকের আমড়াল দীঘিতে মাছ ধরার জন্য জাল মারার কথা ছিল। তার আগে বিশাল দীঘির যে অংশে জাল আটকে যেতো কয়েকজন জেলে এদিন জলের তলায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। আর তখনই জেলেদের চোখ ওঠে কপালে। তারা দেখতে পান জলের তলায় পরে রয়েছে আসতো একটি মোটর সাইকেল। তড়িঘড়ি তারা জলের উপরে উঠে এসে বাকিদের বিষয়টি জানান। এরপর মোটা রশা নিয়ে ফের জলের তলায় নেমে কালো রঙের মোটর সাইকেল টিকে তুলে নিয়ে আসেন।

দেখা যায় দীর্ঘদিন জলের তলায় পড়ে থাকার কারণে মোটর সাইকেলটিতে রীতিমত শ্যাওলা পরে গেছে। খবর দেওয়া হয় খন্ডঘোষ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোটর সাইকেলটি কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে দীঘির জলে কে বা কারা, কি উদ্দেশ্যে একটা মোটর সাইকেল ফেলে দিলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে রহস্য। স্থানীয় মানুষ এই ঘটনার সঙ্গে নানান সম্ভাবনার বিষয়ে চর্চা শুরু করেছেন। জানা গেছে, এই দীঘির অংশ ছাড়া আশপাশের এলাকা বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত। অন্যদিকে এই দীঘির গা ঘেঁষেই গেছে শাসপুর-বাঁকুড়া রোড।

ফলে কবে, কখন কে বা কারা, কিজন্য একটা মোটর সাইকেল দীঘির জলে ফেলে দিয়ে গেলো – তা পুলিশি তদন্তের পরই জানা যাবে বলে মনে করছেন এই দীঘির রক্ষণাবেক্ষণ কারী লোকজন থেকে স্থানীয় মানুষ। তবে খন্ডঘোষ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটর সাইকেলটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরিবহন দপ্তর থেকে এই গাড়িটির বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পরই গোটা ঘটনার বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে। যদিও দীঘির জল থেকে মোটর সাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ বলে জানা গেছে।

Recent Posts