ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: গত দুদিনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় একের পর এক ভয়ানক খুনের ঘটনায় জেলা পুলিশ যখন ত্রস্ত, ঠিক সেই সময় অর্থাৎ শুত্রুবার বিকেলে ফের এক নৃশংস ঘটনা ঘটলো খন্ডঘোষ থানার খন্ডঘোষ গ্রামের ষাঁড়পাড়া এলাকায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এদিন বিকেলে আচমকাই হাঁড়িপাড়া নিবাসী পরান বাউড়ি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার শালির বাড়ি ভট্টাচার্য্য পাড়া অর্থাৎ গত কয়েকদিন যাবৎ যেখানে তার বউ ও এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে, সেখানে এসে কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে তিনজনকে।
এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় পরান বাউড়ির স্ত্রী সুমিত্রা বাউড়ি, এক বছরের শিশু কন্যা রাজলক্ষী এবং শালি মালতি ষাঁড়। জখম তিনজনকেই প্রথমে খন্ডঘোষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সেখানে থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পরান বাউড়ির স্ত্রী ও মেয়ের অবস্থা সংকটজনক।
কিছুটা সুস্থ মালতি ষাঁড় জানিয়েছেন, এদিন বিকেলে বেলায় তাঁর দিদি সুমিত্রা মেয়েকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই জামাই পরান বাউড়ি বাড়িতে এসে দিদির সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। জামাই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল। এরপরই হাতের কাছে একটা বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করে সে। পরে বাঁশ ফেলে দিয়ে কাস্তে দিয়ে দিদিকে আর ভাইঝি কে মারতে শুরু করে। আটকাতে গেলে তাকেও কাস্তের কোপ মারে।
মালতি দেবী জানিয়েছেন, জামাই প্রায়ই দিদির সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করতো। কাজকম্ম সেরকম কিছু করতো না। সম্প্রতি গ্রামের ঠাকুর স্থানে নেশা করে গিয়ে ত্রিশূল,ঘট ইত্যাদি ভাঙচুর করেছিল পরান। আর আজ যে ঘটনা পরান ঘটিয়েছে তাতে অল্পের জন্য সে প্রাণে বেঁচে গেলেও, দিদি ও এক বছরের শিশু টি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে পরান বাউড়ির কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে খন্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরান বাউড়ি কে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি এই ভয়ানক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।