বর্ধমান শহরের নার্সারি ব্যবসায়ী নিশিকান্ত মান্না জানিয়েছেন, গতবছর এই সময় তাঁরা বিভিন্ন শীতকালীন ফুল গাছের চারা যোগান দিয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু এবারে একেবারেই উল্টো চিত্র। এমনকি প্রতিবছরই বর্ধমান শহরে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী মাস জুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ফুলের মেলা, ফুল নিয়ে নানান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে সেই সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেন অনেকেই। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন।
নিশিকান্তবাবু জানিয়েছেন, এবারে ফুল গাছের চারা বিক্রি একেবারেই নেই। তিনি জানিয়েছেন, করোনার জেরে গাড়ি ঠিকভাবে না চলায় ক্রেতারা আসতে পারছেন না। তবুও তারই মধ্যে যাঁরা ফুল গাছ ভাল বাসেন তাঁরা কিছু কিছু চারাগাছ কিনতে শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরগুলিতে এই সময় চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, ইনকা গাঁদা, কসমস, ক্যালেনডুলা প্রভৃতি চারার চাহিদা তুঙ্গে থাকে। কিন্তু এবারে অল্প অল্প করে গাঁদা এবং গাঁদার বিভিন্ন প্রজাতির চাহিদা থাকলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়।
তিনি জানিয়েছেন, গতবছরও অক্টোবর মাসে যখন শীতকালীন ফুল গাছের বিক্রি তুঙ্গে উঠেছিল এবারে বিশেষতই করোনা আবহের জেরে সেই চাহিদা কার্যতই তলানিতে এসে ঠেকেছে। এমনকি নিউ নর্মালেও সেই চাহিদা এখনও সৃষ্টি হয়নি বলে দাবী করেছেন নার্সারি ব্যবসায়ীরা। তিনি জানিয়েছেন, এর ওপর গরম আবহাওয়ার কারণে চারাগাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নার্সারি গুলিতেও এখন কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেতারাও চারাগাছ কিনে নিয়ে গিয়ে বাঁচাতে পারছেন না। তবে নার্সারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখনো সময় আছে, নভেম্বর মাসেও যারা গাছ লাগাবেন শীতের মধ্যেই সেই সব ফুলগাছ সম্পূর্ণ রূপ নিয়ে নেবে।