গলসীর বাহিরঘন্ন্যায় সমবায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ সদস্যরা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসী: বর্ধমানের গলসী থানার বাহিরঘন্ন্যা শ্রীরামপুর এস কে ইউ এস লিমিটেডের একাধিক অনিয়ম নিয়ে এবার সোচ্চার হলেন সমবায়েরই সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলা সমবায় দপ্তরের আধিকারিক প্রভৃতি সমস্ত দপ্তরে লিখিতভাবে অনিয়ম তুলে ধরে দ্রুত তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। সমিতির সদস্য সবর আলি মণ্ডল, সোনা মল্লিক প্রমুখরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালে এই সমবায়টি প্রতিষ্ঠা পাবার পর গত ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের নির্দেশে কৃষকদের স্বার্থে শস্যবীমার টাকা ও সমবায়ের মাধ্যমে ধান কেনার কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে সমবায়ের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর সেখানে সমবায়ের বিশেষ প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। 

কিন্তু করোনাজনিত কারণে মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি তৈরী না হওয়ায় চাষীরা ধান বিক্রি করতে পারেনি। ফলে সমস্যার তৈরী হয়। যদিও সমবায় প্রশাসকের নির্দেশে যাঁরা শস্য বীমার ঋণ নিয়েছিলেন তাঁদের কাছ থেকে ধান কেনার নির্দেশ জারী করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। চাষীরা ধান বিক্রি করতে পারেনি। সমবায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই সমবায়ে সিএসপি চালু করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাতে বিস্তর অসংগতি তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন। এব্যাপারে যে টেণ্ডার ইস্যু করা হয়েছে তাতে বিস্তর স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। সদস্যদের অভিযোগ, খোদ সমবায়ের ম্যানেজার এবং সিআই নিজেরাই টেণ্ডার বক্স তৈরী করে গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজেরাই টেণ্ডার ফর্ম ফেলেছেন ড্রপ বক্সে। এব্যাপারে সমবায়ের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে তদন্ত করার দাবী তুলেছেন সদস্যরা।
তাঁরা দাবী করেছেন, এই সিসিটিভি ফুটেজকে দ্রুত সংগ্রহ না করলে নিয়মানুসারে তা মুছে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাট হওয়ার আশংকা রয়েছে। সদস্যরা জানিয়েছেন, গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর সমবায়ের ম্যানেজার এবং সিআই দুজনে মিলে এই টেণ্ডার নিয়ে একটি রেজুলেশন নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সন্দেহ এই টেণ্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এমনকি সম্পূর্ণ পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও সিএসপি চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টিও যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে তাঁদের মনে হয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।

Recent Posts