ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুরসভার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের হেফাজত থেকে রহস্যজনকভাবে চিকিৎসারত অবস্থায় এক ব্যক্তির উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়ির লোক ইতিমধ্যেই এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম এনামুই সেখ (৩১)। বাড়ি বর্ধমান শহরের ষাঁড়খানা গলি এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
এনামুই সেখের স্ত্রী রুকসানা বিবি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী পেশায় গাড়ির চালক। সম্প্রতি কয়েকমাস আগে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে নেশা মুক্ত করতে গুসকরার সুপ্রভাত ফাউণ্ডেশন নামে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে তাঁকে চিকিৎসার জন্য চুক্তি ভিত্তিক ভর্তি করেন। এজন্য প্রতিমাসে তাঁদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে ভর্তির ৩ মাস পর তাঁদের দেখতে দেওয়া হয়। এরপর ১মাস পরে তিনি যখন স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তাঁদের জানানো হয়, কাউকে কিছু না বলেই এনামুই সেখ ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেছেন। তার কোনো হদিশ মেলেনি।
রুকসানা বিবি জানিয়েছেন, প্রতিমাসে তাঁর স্বামীর দেখভাল এবং চিকিৎসার জন্য ওই সংস্থা ৩ হাজার টাকা করে তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছেন। তাঁর স্বামীর সম্পূ্র্ণ দায়িত্ব ওই সংস্থারই। কিন্তু এখন তারা বলছে কোনো কিছুই তারা জানেন না। রুকসানা বিবি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাঁর স্বামীকে খুঁজে দিতে আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ওই সংস্থার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানিয়েছেন। গোটা বিষয়টি তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে রুকসানা বিবি জানান।
এদিকে, এব্যাপারে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সুমন্ত আইচ জানিয়েছেন, রুকসানা বিবি যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৩ আগষ্ট এনামুই সেখের পরিবারের লোকজন তাঁদের কাছে এসে এনামুই সেখকে তাঁদের কেন্দ্র থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। তখন তাঁরা জানিয়েছেন, চিকৎসার জন্য এনামুই সেখকে তাঁরা রাঁচিতে নিয়ে যাচ্ছেন। সুমন্তবাবু জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁরা এনামুই সেখের পরিবারকে জানিয়েও ছিলেন রাঁচিতে কোথায় ভর্তি করা হচ্ছে তা যেন তাঁদের জানানো হয়। কিন্তু তাঁদের তা জানানো হয়নি। রুকসানা বিবির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, উপযুক্ত তদন্ত হলেই সব পরিষ্কার হবে। তাঁরাও চান পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক।