ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা: রেল লাইনের ধার থেকে এক গৃহবধূর গলা কাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হল কালনায়। সমুদ্রগড় ও নান্দাই রেলস্টেশনের মাঝে সোমবার পুলিশ উদ্ধার করে এক মহিলার দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতার নাম শর্মিলা দাস। মৃতদেহ কালনা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হলে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন শশুর বাড়ির লোকজনের উপর চড়াও হয়। ব্যাপক মারধর, জুতো পেটার পাশাপাশি মৃতার স্বামীর মাথা মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাতাহাতির জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কালনা হাসপাতাল মর্গ চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কালনা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন।
জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে কালনার সমুদ্রগড় চর গোয়ালপাড়ার বানেশ্বর দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় নদিয়ার মাটিয়ারীর শর্মিলা দাসের। সংসার ঠিকঠাকই চলছিল। তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে পেশায় ভ্যানচালক স্বামী মাঝেমধ্যে মদ্যপান করতেন বলে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছেন। সেই কারণে প্রায় সংসারে খুঁটিনাটি অশান্তি লেগেই থাকত। কিন্তু অশান্তি চরম আকার নেয় রবিবার রাতে। স্বামী-স্ত্রীর বচসার জেরে গভীর রাতে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী। বাড়ির লোক সারারাত খোঁজাখুঁজির পর তার কোনও হদিস না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরের দিন সকালে পরিচিতিদের মারফত জানতে পারে সমুদ্রগড় ও নান্দাই রেলস্টেশনের মাঝে গলাকাটা অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
খবর পেয়ে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন নথি ও প্রমান দেখিয়ে দেহ সনাক্তকরণ করেন। তারপরেই মর্গে এসে পৌঁছায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। মেয়ের মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দায়ী এমনটাই দাবি করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। এই অভিযোগ তুলে মারমুখী হয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ওপর। কিল চড় ঘুষির সঙ্গে চলে জুতোপেটা, মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় জামাইয়ের মাথা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালনা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।