ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ফের নাম বদল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির নাম পরিবর্তন করার বিষয় নিয়ে বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই রাজ্য কেন্দ্র চাপানউতোর রয়েছেই। এবার আবার একটি প্রকল্পের নাম বদলের সিদ্ধান্তে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এবার নাম বদল হতে চলেছে আইসিডিএসের। এতদিন যা ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
আগামী ৩ মার্চ থেকে তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নতুন নাম হচ্ছে শিশু আলয়। জানা গেছে, আগামী ৩ মার্চ রাজ্যস্তরের এই অনুষ্ঠান হতে চলেছে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। হাজির থাকবেন মহিলা, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। একইসঙ্গে গোটা রাজ্য জুড়েই একইসঙ্গে জেলায় জেলায় এই কর্মসূচী পালিত হতে চলেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এদিনই ২০২০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নামও পরিবর্তন হয়ে হচ্ছে শিশু আলয়।
ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপে পূর্ব বর্ধমানের ২০২০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে সাজিয়ে তোলার কাজ শেষ হয়েছে। শিশুদের উপযোগী করে কেন্দ্রগুলিকে নানা থিমে সাজিয়ে তোলার কাজ করা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা আইসিডিএস প্রকল্পের আধিকারিক পাপিয়া হালদার চ্যাটার্জ্জী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার অনুষ্ঠানটি হবে মেমারির বোহার হাটতলা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে। হাজির থাকবেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও।
উল্লেখ্য, জানা গেছে, নতুন করে শিশু আলয় হিসাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রগুলির ভেতর ও বাইরের অংশকে সাজানো হয়েছে। শিশুদের উপযোগী এবং পছন্দের বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সৌন্দয্যায়নের ক্ষেত্রে। জেলা প্রকল্পাধিকারিক জানিয়েছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে দুরকমভাবে শিশুদের পড়ানো হয়। এক্ষেত্রে সরকারী নিয়মানুযায়ী এই কেন্দ্রগুলিকে সাজানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সেই সমস্ত পাঠ্য বিষয়ের থিমকেই।
কোনো দেওয়ালে আঁকা হয়েছে গাছ, ফুল, পাতা, পাখির ছবি। আবার কোনো দেওয়ালে আঁকা হয়েছে নানান ইংরাজী, বাংলা অক্ষরকে। তিনি জানিয়েছেন, এই থিমগুলি পরিবর্তনশীল। পাঠ্যসূচী অনুযায়ী এই সাজানোর বিষয়বস্তুরও বদল ঘটানো হবে।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুরা এই সমস্ত ছবি দেখে উৎসাহিত হচ্ছে। তারা ছবির সঙ্গে বইয়ের অক্ষর চিনছে। পরিবেশ সম্পর্কে ধীরে ধীরে জ্ঞান অর্জন করতে শিখছে। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার আলয় কে ‘শিক্ষা আলয়’ নামকরণে কোন ভুল সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা।