ভ্যালেন্টাইন ডে-কে চুটিয়ে উপভোগ করার দৃশ্যও ধরা পড়ল শহরের নানা প্রান্তে। কৃষ্ণসায়র পার্ক থেকে শুরু করে আইনক্স, কিংবা শহরের রেস্টুরেন্ট থেকে শপিং মল সব জায়গায় ছিল উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের ভিড়। প্রেম নিবেদনের এই দিনটার কোন মুহূর্তই নষ্ট করার ইচ্ছা আজ ছিলনা প্রেমিক প্রেমিকাদের। তবে প্রেম নিবেদনের প্রধান সামগ্রী গোলাপ এদিন কার্যত প্রেমিক প্রেমিকাদের হৃদয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই গোলাপের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বি।
কিন্তু বর্ধমান শহরের ফুলের বাজারে গোলাপের দাম ছিল ধরা ছোঁয়ায় বাইরে। মেদিনীপুর কিম্বা নদীয়ার গোলাপ এদিন প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাঙ্গালোর গোলাপ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৭০টাকা দরে। একাধিক ফুলের দোকানিরাও স্বীকার করেছেন, অতি বৃষ্টির কারণে গোলাপের ফলন এবার কম হওয়ায় দাম প্রচুর বেড়েছে। রোজ ডে তে কিছু বিক্রিবাটা হলেও সোমবার গোলাপের চড়া দামের জন্য খদ্দেরের সংখ্যাও ছিল অনেক কম।
স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ প্রেমিক প্রেমিকারা ফুলের দোকানে গোলাপ কিনতে গিয়েও খালি হাতে ফিরেছে। অনেকেই জানিয়েছে, গোলাপের প্রতি পিসের দাম কোনো বছরই এই পর্যায়ে পৌঁছায় না। ফলে ভালোবাসার মানুষটিকে মনের মতো করে একটা গোলাপ দেওয়ার ইচ্ছা থেকে বিরতই থাকতে হলো এবছর। বরং তারা জানিয়েছেন, প্রেম আজও প্রথম সকালের মতো করেই আসে। গোলাপ থাক বা না থাক। আর প্রেমিককুলের গলায় শোনা গেছে, ‘সকালের কৈশরে তোমাকে চাই, সন্ধের অবকাশে তোমাকে চাই…শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই।’ সব প্রেম পরিণতি হয়তো পায় না, হয়তো চায়ও না। তা বলে প্রেমের সময়ে বুকের গভীরে যে ধুকপুকানি, তা চিরন্তন।