গ্রন্থাগারে বাংলা সহায়তা চালু নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রন্থাগারিকরা
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গত বৃহস্পতিবার যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে জনগণের প্রভূত উপকারের কথা জানিয়েছেন, সেই সময় খোদ পূর্ব বর্ধমানে বিশেষত গ্রন্থাগারগুলিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রন্থাগারিকরা। গত বুধবারই তাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলা গ্রন্থাগারিকের কাছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু নিয়ে ৬ দফা দাবীপত্র জমা দিয়েছেন।
আন্দোলনরত গ্রন্থাগারিক মিত্রা কোলে জানিয়েছেন, গত ২৯ আগষ্ট রাজ্যের জয়েণ্ট সেক্রেটারী একটি নির্দেশিকা পাঠান। সেই নির্দেশে বলা হয় বাংলা সহায়ক কেন্দ্রগুলিতে গ্রন্থাগার কর্মী নিয়োগ করতে হবে। রুরাল লাইব্রেরী এবং টাউন লাইব্রেরীর গ্রন্থাগারিক অথবা সহকারী গ্রন্থাগারিককে এক একটা বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের দায়িত্ব নিতে হবে। গ্রন্থাগারিকদের কাছে সেটাই হবে প্রাথমিক লাইব্রেরী। মিত্রাদেবী জানিয়েছেন, এই নির্দেশ আসার পরই তা কার্যকরী করার উদ্যোগ শুরু হয়।
তিনি জানিয়েছেন, এটা অমানবিক নির্দেশ, গ্রন্থাগারিক পেশার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় আঘাত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের অন্ধকারে রেখে এই অর্ডার কার্যকরী করা হচ্ছে। মিত্রাদেবী জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের বিরোধী নন, কিন্তু যেভাবে তাঁদের বদলী করা হচ্ছে তার বিরোধিতা করছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, চালু লাইব্রেরীকে বন্ধ করে দিয়ে বন্ধ লাইব্রেরীতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে বলা হচ্ছে।
তাঁরা দাবী জানাচ্ছেন, চালু লাইব্রেরীতেই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দিয়ে এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হোক। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে গিয়ে গ্রন্থাগারিক পদও কার্যত সংকটে পড়বে। কারণ সেক্ষেত্রে তাঁরা গ্রন্থাগারিক পরিচয় দিতে পারবেন না। তাই তাঁরা দাবী জানিয়েছেন, চালু গ্রন্থাগারে সাধারণ গ্রন্থাগার আইনে বর্ণিত গ্রন্থাগার পরিষেবাকে অক্ষুণ্ণ রেখেই এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে হবে। মিত্রাদেবী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তাঁদের দাবী জানিয়েছেন। কিন্তু এই দাবী পূরণ না হলে তাঁরা প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থও হবেন।