ঘটি – বাঙালের লড়াইয়ের গরম আঁচ এবার বর্ধমান শহরেও

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আইএসএলের ইতিহাসে এবার আপামর বাঙালি এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে আগামী ২৭ নভেম্বর। আইএসএল গঠনের সময় যেখানে বলা ছিল কোনো শহরের একটির বেশি কোনো ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না, সেই নিয়ম ভেঙেই আগামী ২৭ নভেম্বর গোয়ায় মুখোমুখি হতে চলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইষ্টবেঙ্গল মোহনবাগান। সৌজন্যে নিতা আম্বানি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই দুইয়ের ঐকান্তিক উদ্যোগের জেরে দীর্ঘদিন পর ফের ফুটবল জ্বরে কাঁপছে গোটা বাংলা।

ফুটবলপ্রেমী ঘটি-বাঙালের পুরনো ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটিও শুর হয়ে গেছে। কে জিতবে কে হারবে – তার চেয়েও বড় বিষয় বাংলার গৌরব, বাংলার জয় – বলেছেন বর্ধমান পুরসভার ১০বছরের ক্রীড়া দপ্তরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল অপূর্ব দাস। এদিকে ২৭ নভেম্বরের ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচ নিয়ে ফের বেটিং চক্র সক্রিয় হওয়ার আশংকা তৈরী হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়েই। ইতিমধ্যেই এই সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য ও জেলা পুলিশ। ক্রমাগতই নজর চলছে শহরের অলিগলি। এদিকে, এই মারকাটারি ফুটবল প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চরম উত্তেজনায় ফুটছে বর্ধমান শহরও। সামাজিক দূরত্ব মেনে কোভিড-১৯ নির্দেশিকা মেনে বর্ধমান শহরের নীলপুরের জাগরণী সংঘের মাঠে ২৭ তারিখ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের লাইভ খেলা বিনামূল্যে দেখানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে।

ইস্টবেঙ্গল ইন বর্ধমান’ (বর্ধমান ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব) এর দুই সদস্য সুমন দাস ও প্রদ্যুৎ সাহা জানিয়েছেন, উপস্থিত সকল দর্শকদের এদিন মাস্ক বিতরণ করা হবে, স্যানিটাইজিং-এর ব্যবস্থা থাকবে। তাঁরা জানিয়েছেন, যেহেতু ইস্টবেঙ্গল প্রথম আই এস এল খেলছে তাই গোটা বর্ধমান শহরে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড-এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হবে। ২৬ তারিখ রাতের মধ্যে এগুলো লাগানোর কাজ শেষ হবে। মাঠের এরিয়া বেশি করে নেওয়া হচ্ছে। বসার জোনে ৬০ জন বসার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে সদস্য এবং আমন্ত্রিতরাই ঢুকতে পারবেন। যেহেতু খোলা জায়গায় খেলা জায়গায় খেলা দেখার এই আয়োজন হচ্ছে, তাই পথচলতি মানুষজনও দাঁড়িয়ে দেখতে পারবেন। সতর্কতা হিসাবে কোভিড-১৯-এর জন্য জেতার পর কোনও সেলিব্রেশন হবে না। উল্লেখ্য, সংগঠনের বর্ধমান শহরে সদস্য ১০০ জন।

অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমান মেরিনার্স (মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব)-এর সদস্য অয়ন দত্ত, সায়ন দত্ত, প্রিয়ব্রত চ্যাটার্জি, রাজব্রত চ্যাটার্জি প্রমুখরা জানিয়েছেন, বীরহাটায় নক্ষত্র হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে জায়েন্ট স্ক্রিনে কোভিড-১৯ নিয়ম মেনে লাইভ খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।১৫০ টাকা কুপন মূল্যে থাকছে ওয়েলকাম ড্রিংক, স্ন্যাকস, কফি, প্যাকেট ডিনার। ২০ তারিখ মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ পাড়াপুকুরে আর এ ইউ সি ক্লাবের মাঠে বিনামূল্যে জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখান হয়েছে।

২৭ তারিখ যেহেতু ডার্বি তাই দর্শক বেশি হবে। সেই কারণে নক্ষত্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোভিড-১৯-এর জন্য ১০০ জনকে কুপন দেওয়া হবে। এখানেও স্যানিটাইজার, মাস্কের ব্যবস্থা থাকবে। তবে এখানে জয়ের পর কোভিড-১৯ মেনেই ছোট করে সেলিব্রেশন করা হবে। বর্ধমান শহরে ব্যানার, হোডিং লাগান হয়ে গেছে। এই ক্লাবের ৬০-৭০ জন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

Recent Posts