বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির মাঝেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৯৭৫ সাল থেকে একটানা ৪৫বছর ধরে জয়ের রেকর্ড সৃষ্টিকারী বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার সমীর রায়। বয়স হয়েছিল ৬৮বছর। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে তাঁর রেপিড এণ্টিজেন টেষ্ট করা হয় এবং রিপোর্ট পজিটিভ মেলে। এরপর সমীরবাবু কে ক্যামরি কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এরই মাঝে রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ মারা যান তিনি। সমীরবাবুর মৃত্যুতে বর্ধমান শহর জুড়ে তীব্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একদা কংগ্রেস, পরে তৃণমূল এবং তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ২০১৬ সালে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে হেরে যান। আপাদমস্তক দক্ষিণপন্থী রাজনীতির নেতা ছিলেন তিনি। সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েও ছিলেন কংগ্রেস ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। এটা তাঁদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই দাহকার্য সম্পন্ন হয় বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশানে। এদিকে, সমীরবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর খোসবাগানের বাড়ি, দলীয় অফিস কোনোটাকেই কন্টেনমেণ্ট জোন ঘোষণা না করায় এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে।
শুধু তাইই নয়, বুধবার সকাল থেকেই কাতারে কাতারে বহু মানুষ তাঁর অনুগামীরা এসে তাঁর ছবিতে মালাও দিয়েছেন। এই অবস্থায় সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আতংকে ভুগছেন খোসবাগানের মানুষজন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ছিলেন বর্ধমান আদালতের আইনজীবীও। তাঁর মৃত্যুতে আইনজীবী মহলেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।