জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান আদালত চত্বর, কাটোয়া এবং কালনা মহকুমা আদালতেও এই কালোবাজারি রমরমিয়ে চলছে। ১০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প পেপার ৫০ টাকায়, ২০ টাকার পেপার ১০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে দেদার। জানা গেছে, বর্ধমান আদালত, কালেক্টরেট চত্বর মিলিয়ে স্ট্যাম্প ভেণ্ডার রয়েছেন ১৩ জন। কেবলমাত্র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টেই প্রতিদিন গড়ে ১ হাজারেরও বেশি এফিডেবিট হয়ে চলেছে। ফলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প পেপারের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে।
এই অবস্থায় সিংহভাগ জায়গাতেই ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার অমিল। কারও কাছে থাকলে তা রীতিমত কালোবাজারি চলছে। এরই মাঝে আবার কিছু মিডলম্যানও রয়েছেন। যাঁরা এই স্ট্যাম্প পেপার নিয়ে চুড়ান্তভাবে কালোবাজারি করে চলেছেন। ফলে সরকারী ১০ টাকার কিংবা ২০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার নিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ভেণ্ডাররা জানিয়েছেন, তাঁরা চাহিদা মত স্ট্যাম্প পেপার পাচ্ছেন না। প্রতিদিনই তাঁরা যে পরিমাণ রিক্যুইজিশন দিচ্ছেন সেই তুলনায় স্ট্যাম্প পেপার পাচ্ছেন অনেক কম।
কালোবাজারির বিষয় সম্পর্কে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা কালোবাজারি করছেন না । তাঁদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে গিয়ে কেউ কেউ করলেও করতে পারেন। অন্যদিকে, এব্যাপারে বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প পেপার নিয়ে কালোবাজারির বিষয়ে তাঁর কাছেও অভিযোগ এসেছে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে তাঁরা তদন্তও শুরু করেছেন। কিছু কিছু দোকান থেকে স্ট্যাম্প পেপার বিক্রি হচ্ছে বলেও তাঁরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় স্ট্যাম্প পেপার যোগান কম হওয়ার জন্যই এই সমস্যা তৈরী হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা জেলা প্রশাসন থেকে যে পরিমাণ রিক্যুইজিশন পাঠাচ্ছেন তার ২৫ ভাগ তাঁরা পাচ্ছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছেও জানিয়েছেন।