ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: উড়ালপুর অথবা আন্ডারপাশ তৈরির দাবিতে গলসি থানার গুসকরা মোড়ে সোমবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করল গলিগ্রাম সহ আশপাশের তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। অবরোধের জেরে এদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে ঘণ্টাখানেক রীতিমত যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়কে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা গলসি থানার পুলিশের গাড়ি কেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতেও বেশ বেগ পেতে হয়। পরে এলাকাবাসীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর অবরোধ ওঠে।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে পানাগড় থেকে পালশিট অবধি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনাপ্রবন গুসকরা মোড়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণের সময়ে এলাকায় উড়ালপুর অথবা আন্ডারপাশ তৈরী করে দেওয়া হবে বলে এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হলেও এখন উড়ালপুর বা আন্ডারপাশ কোনটাই হবে না বলে জানতে পারেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গলিগ্রাম সহ আশপাশ এলাকার তিনটি গ্রামের কয়েকশো মানুষ এসে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কে এখানে এসে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এই মোড়ের আগে উড়ালপুর অথবা আন্ডারপাশ করে দেবার। না হলে অবরোধ তোলা হবে না। এদিন এই অবরোধে স্কুল পড়ুয়া থেকে গ্রামের মহিলারাও সামিল হন। বিক্ষোভে সামিল এক গৃহবধু কবিতা মেটে বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ছেলে মেয়েরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুল যাতায়াত করে। আমাদের রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতি মাসেই একটা দুটো করে দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ মরছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে আমরা মহিলারাও রাস্তায় নেমেছি আজ।’
গলসি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘গ্রামবাসীদের দাবির খুবই যৌক্তিকতা রয়েছে। এই এলাকায় পরপর অনেকগুলি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকা দিয়ে যেহেতু অনেকগুলি গ্রামের লিঙ্ক রোড, ফলে এই মোড়টা ব্যস্তই থাকে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করা উচিত।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের এই দাবির বিষয়টি তারা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসবেন।