ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার জামালপুরে নবগ্রামের ষষ্ঠীতলায় বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বিজেপির একজন কর্মী এবং দুজন তৃণমূল কর্মী মারা গেছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
তৃণমূলের অভিযোগ, সোমবার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বিজয় উল্লাস করার সময় হামলা চালায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনায় তৃণমূলের তিনজন গুরুতর জখম হয়। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, এদিন তৃণমূল কর্মীরা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দলের শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ আশীষ ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপালের(৪৫) উপর আক্রমণ করে। তার গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়া হয়। আশংকাজনক অবস্থায় জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এদিকে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আহতদের জামালপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, শাহাজাহান শাহ(৩০) আর বিভাস বাগ (২৭) নামে তৃণমূলের দুজন সক্রিয় কর্মীকে এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানিয়েছেন, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিজেপির আধিপত্য বেশি। এদিন তৃণমূলের কর্মীরা জয়োল্লাস করার সময় তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীরা আক্রমণ করে। গুরুতর জখম হন দুজন। পাশপাশি বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, আশীষ ক্ষেত্রপালের বাবা অনিল ক্ষেত্রপাল এবং কাকার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল। পায়ে গুরুতর চোট নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অনিল ক্ষেত্রপালকে। এদিকে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রায়না, জামালপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা জুড়েই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।