জেলা পুলিশের অভিনব উদ্যোগ, জেলার হস্ত শিল্পীদের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘মাটির টান’ এখন বর্ধমানেই

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবার জেলার সমস্ত হস্ত শিল্পের সম্ভার এক ছাদের তলায় পাবেন আগ্রহী সৌখিন গ্রাহকরা। মূলতঃ জেলার হস্ত শিল্পের প্রসার ও শিল্পীদের আর্থিকভাবে আরো সাবলম্বী করাই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন। বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লীর শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় পুলিশ লাইনের বিপরীতে একেবারে জিটি রোডের ধারে আধুনিক মানের এই শোরুম তৈরী করে দিয়েছে পুলিশ। এই স্টোরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাটির টান।’

 

 

পুলিশ কনজিউমার্স কো-অপারেটিভ স্টোরের অধীনে থাকা এই শোরুমে থাকবে পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল, পেঁচা, থেকে আউশগ্রামের দরিয়াপুরের ডোকরার বিভিন্ন মূর্তি। এছাড়াও থাকবে মঙ্গলকোটের বনকাপাশির শোলা শিল্পের নানা কাজের সম্ভার। একই সঙ্গে থাকবে জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত সেরা জিনিসগুলি। পরবর্তীতে অন্যান্য শিল্পীদের সামগ্রীও এখানে পাওয়া যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

 

 

পুলিশ সুপার বলেন,’ এই জেলায় আসার পরেই বিভিন্ন মেলায় দেখেছি আমাদের জেলায় এত অসাধারণ হাতের কাজ করছেন শিল্পীরা অথচ তাদের নিজস্ব কোন বিক্রীর জায়গা নেই। এখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা তাদের কাজ করে পাঠাবেন। তারা যে দাম নির্ধারণ করে দেবেন সেই দামেই আমাদের পুলিশ কর্মীরাই সেগুলি বিক্রী করে তাঁদের টাকা দিয়ে দেবে। কেউ কোন অর্ডার দিলে সেটাও সংশ্লিষ্ট শিল্পীর কাছে পৌঁছে দেব আমরা। এক টাকাও পুলিশ নেবে না। এতদিন জেলায় এই শিল্পীদের তৈরী সৃষ্টি গুলির বিপনীর কোন ব্যবস্থা ছিলনা। আমরা চাই জেলার শিল্পীদের জিনিস আরও বেশী করে মানুষ কিনুন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রেরণায় আমরা এই প্রকল্পের নাম রেখেছি মাটির টান।’

 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুশো স্কয়ারফুটের এই হস্ত শিল্পের দ্রব্যের এক্সক্লুসিভ শোরুমটিকে একেবারে আধুনিকভাবে সাজিয়েও তোলা হয়েছে। বিভিন্ন দেওয়ালে লাগানো হয়েছে স্পট লাইট, বসানো হয়েছে এসি মেশিন। সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে পুলিশ কর্মীরাই থাকছেন এই দোকানের দায়িত্বে। কার্যত মাটির টানে বাংলার হস্ত শিল্পের দ্রব্য দিয়ে আপনার বাড়ির শোভা বাড়াতে এখন আর কোনো মেলা বা উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না, সারা বছরের যে কোন সময় সোজা চলে আসুন ‘মাটির টান’ এক্সক্লুসিভ শোরুমে।

Recent Posts