টার্গেট বিধানসভা – পূর্ব বর্ধমানে কংগ্রেসের শাখা সংগঠন গুলিকে সক্রিয় করার উদ্যোগ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সামনেই বিধানসভা ভোট। আর সেই ভোটকে মাথায় রেখে যখন রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘর গোছাতে ব্যস্ত, সেই সময় ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে নতুন করে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করে দিল সর্বভারতীয় কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর এখনও নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তারই মাঝে বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখেই দলের শাখা দলগুলিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গেল। 

বিজ্ঞাপন
যার মধ্যে রয়েছে দলের শ্রমিক সংগঠন এবং সোস্যাল মিডিয়া টিম গঠন। গত ২৭ আগষ্ট প্রদেশ কংগ্রেসের সোস্যাল মিডিয়া এণ্ড ডিজিট্যাল কমিউনিকেশন বিভাগের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় জেলা কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হল অধ্যাপক সুদীপ মজুমদারকে। যদিও আগে থেকেই এই বিভাগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কাজ করছেন শুভাশীষ সামন্ত এবং গৌরব সমাদ্দার। কিন্তু তারই পাশাপাশি এই বিভাগকে আরও চাঙ্গা করতে সুদীপবাবুকে নতুন এই সংযোগকারী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় অসংগঠিত কর্মী কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গত ২৬ আগষ্ট সুদীপ মজুমদারকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই সেলের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। 

সুদীপবাবু জানিয়েছেন, গোটা জেলা জুড়েই অসংগঠিত কর্মীরা নানাবিধ অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলই তাঁদের যথাযথ সহযোগিতা করছেন না। তাই তিনি দায়িত্ব পাবার পরই জেলার ২৩টি ব্লকেই আলাদা করে কমিটি তৈরী করে এই অসংগঠিত কর্মীদের কংগ্রেসের ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকেই মাইক্রো লেবেল কমিটিও গঠন করবেন। যাতে একেবারে গ্রামাঞ্চলের কোনো কর্মী এর আওতার বাইরে না থাকেন। 
সুদীপবাবু জানিয়েছেন, মূলত, দীর্ঘদিন ধরেই অসংগঠিত কর্মীরা নানাভাবে শোষণের শিকার এবং শুধু তাঁরাই নয়, রীতিমত অসহায় তাঁদের পরিবারবর্গও। সেগুলিকেই তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। এই অসংগঠিত কর্মীদের বীমা, তাঁদের মেয়েদের স্বাস্থ্যবীমা ছাড়াও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই অসংগঠিত কর্মীরা চরম দুর্দশায় রয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই যাঁদের সহায়তা দেওয়া যায় তার জন্য তিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন। 

আরো পড়ুন