তিনি এদিন বলেন, ত্রিপুরাতে দিদির ভাইদের নিরাপত্তা দিচ্ছে সেখানকার বিজেপি সরকার। আর গোটা বাংলা জুড়ে বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এর নাম গণতন্ত্র? সম্প্রতি বিএসএফের সীমানা বিন্যাসের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় যে পার্লামেণ্ট অভিযানের ঘোষণা করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, দেশের স্বার্থে মোদিজী কোনো সিদ্ধান্ত নিলেই তার বিরোধিতা করেন তৃণমূল। ওদের কাছে রাজনৈতিক স্বার্থটাই বড়। ত্রিপুরায় ভোটের প্রচারে যাঁদের পাঠানো হয়েছে তাদের সম্পর্কেও এদিন কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, যাঁরা এখানে দু নম্বরী করে কামাই করেছে, তাদের পাঠানো হয়েছে।
দিলীপবাবু সিপিএম এবং কংগ্রেসের সমালোচনা করে এদিন বলেন, তৃণমূলের কাছ থেকে নিয়ে ওদের চর্বি হয়ে গেছে। ওরা আর বিরোধিতা করতে পারে না। ওদের কোমড়ের জোর নেই। একমাত্র তৃণমূলের বিরোধিতা করতে রাস্তায় আছে বিজেপিই। দীর্ঘদিন পুরসভার নির্বাচন না হওয়া নিয়েও দিলীপবাবু কটাক্ষ করে বলেন, কোথাও পুর পরিষেবা নেই। কবে বৃষ্টি থেমে গেছে। এখনও বহু জায়গা থেকে জল নামে নি। কারণ পুরসভায় কোনো নির্বাচিত বোর্ড নেই। কাউন্সিলার নেই। কাদের কাছে মানুষ যাবেন। পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বসিয়ে লুঠের রাজত্ব চালাচ্ছে তৃণমূল। বাংলার মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে ত্রিপুরা গোয়াতে গিয়ে খরচ করছে। তিনি বলেন, মানুষের অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে। হরণ করা হচ্ছে।
দিলীপবাবু বলেন, রাজনৈতিকভাবে গোয়ায় নোংরামী করা হয়েছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর ছবির ওপর দিদিমণির ছবি দেওয়ায় সেখানকার মানুষ সেই ছবিগুলিকে নামিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিএসএফের সীমানা বাড়ানোর ঘটনায় দিদি আর ভাইদের কষ্ট হচ্ছে। কারণ গরুপাচার, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ আর হবে না। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে যে দুজন মারা গেছেন তারাও গরুপাচারকারী বলে জানিয়েছেন দিলীপবাবু। এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে মদের দাম কমানো হচ্ছে। কিন্তু তেলের দাম কমানো হচ্ছে না। কারণ মদ, তেল থেকে আয়ের বাড়তি টাকা গোয়া, ত্রিপুরার ভোটে ঢালা হচ্ছে। দিলীপ বাবু কটাক্ষ করে বলেন, বাংলার জনগণের টাকা অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে ভস্মে ঘী ঢালা হচ্ছে। কিন্তু তেলের দাম কমানো যেহেতু সকলের প্রয়োজন, তাই তা কমাচ্ছে না রাজ্য সরকার।