দামোদরের উপর বর্ধমানের কৃষক সেতুর অবস্থা বিপজ্জনক! পিলারের নিচে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করল পূর্ত দপ্তর
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের একাধিক জেলার সংযোগরক্ষাকারী দামোদর নদের উপর কৃষক সেতুর অবস্থা প্রায় বিপজ্জনক। প্রশাসনের বেহাল নজরদারি এবং গাফিলতির সুযোগ নিয়ে দামোদর নদের উপর এই অতি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর পিলারের নিচ থেকে দেদার বালি তুলে নেওয়ায় ঘটনায় কার্যত মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন এই সেতু। এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন হাজারো গাড়ি যাতায়াত করে বিভিন্ন জেলার বিভিন্নভাবে প্রান্তে।
আর এই অবস্থার গুরুত্ব বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। একপ্রকার জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সেতুর নিচে পিলারের গায়ে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দপ্তর। কারণ এই পিলার গুলির কাছে ৭০ থেকে ৮০ ফুটের গর্ত তৈরী হয়েছে। আর এর প্রধান কারণ দিনের পর দিন এই অঞ্চল থেকে বালি মাফিয়াদের দেদার বালি চুরি। যদিও বালিঘাট মালিকদের একাংশ জানিয়েছে, টানা বর্ষা, আর জলের স্রোতের কারণে পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে।
তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দামোদরের এই অংশের জলের স্রোত এতটা প্রখর নয় যে জলের তোড়ে পিলারের নিচের মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে যাবে। এই অবস্থা তৈরি হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে লাগাতার বালি উত্তোলন।
প্রায় ন’বছর আগে একবার এই একই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল সেতুর নিচে পিলারের গোড়ায়। তখন মাটি ফেলে পরিস্থিতির সামাল দেওয়া হলেও আবারও সেই মাটি ধুয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন পূর্ত দপ্তর। বিষয়টি নজরে আসতেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। এখন জলের স্রোত কম থাকায় নতুন করে মাটি ফেলে গর্ত ভরাট করার কাজ শুরু করা হয়েছে। পরে পাথরের বোল্ডার ফেলে আরো মজবুত করা হবে।
পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কনক কুমার সাহা বলেন, নবছর আগে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। তখন পিলারের গোড়ায় মাটি ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে মাটিও ধুয়ে গিয়ে গর্ত হয়ে গিয়েছে। ফের তাই মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিকে দামোদরের ধারে বসবাসকারী স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, সেতুর নিচে পিলারের কাছে দুষ্কৃতীরা নৌকা নিয়ে বালতি করে প্রায় বস্তার পর বস্তা বালি তুলে পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন। আর এর জন্যই পিলারের নিচে বড় বড় গর্ত তৈরি যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের এসব দেখার সময় নেই।