ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আংশিক লকডাউনের দিন আরও বাড়ল। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংকট বাড়ল বাস মালিকদের। গতবছর করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাস পরিষেবা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও তার কোনো হেরফের ঘটেনি। এরপর আবার ধেয়ে আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর করোনার জেরে রীতিমত আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বাস মালিকদের। এমনটাই দাবী করেছেন বাস মালিকরা। আর তাই এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বর্ধমান টাউনসার্ভিস বাস ওনার্স সমিতি এবং অল বেঙ্গল বাস – মিনিবাস সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করলেন – দিদি আমাদের বাঁচান। মঙ্গলবার বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যাণ্ডে রীতিমত এই দাবীকে সামনে রেখে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন এই সংগঠনের সদস্যরা।
এদিন টাউন সার্ভিস বাস ওনার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবলু শর্মা জানিয়েছে, গত ১৬ মাস ধরে তাঁদের বাস পরিষেবা বন্ধ। অথচ বসে বসে তাঁদের বাসের কর্মচারী, চালকদের বেতন দিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানী তেলের দাম। সব মিলিয়ে তাঁদের নাভিশ্বাস অবস্থা। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা লিটার এবং তখন বাসের ন্যূনতম ভাড়া ছিল ৮টাকা। ২০১৮ সালের পর ২০২১ সালে ডিজেলের দাম হয়েছে ৯০ টাকা প্রতি লিটার। কিন্তু এখনও ভাড়া সেই ৮ টাকা মাথাপিছু। তাই তাঁদের পক্ষে আর বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমতবস্থায় দ্রুত বাসভাড়া বৃদ্ধি নাহলে বাস পরিষেবা একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।
তিনি জানিয়েছেন, ডিজেল সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এমনকি এই বিধি-নিষেধ উঠলেও তাঁদের পক্ষে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়েছেন বাবলু শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, একদিকে করোনার জেরে দীর্ঘদিন বাস পরিষেবা বন্ধ। অন্যদিকে পেট্রোপন্যের মুল্যবৃদ্ধি, ফলে যুগ্ম ফলায় বিদ্ধ তাঁরা। এমতাবস্থায় সরকারী তরফে আর্থিক প্যাকেজ ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধিই একমাত্র পথ।
এরই পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্ধমান শহরের মধ্যে দিয়ে চলছে অবৈধভাবে টোটো এবং অন্য বাস। তারফলেও তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এগুলিও বন্ধ করার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। বাবুল শর্মারা এদিন জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের এই দাবী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁদের আশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানব দরদী। তিনি নিশ্চয়ই তাঁদের সমস্যা ও অভাব বুঝে দ্রুত সুষ্ঠ সমাধানের রাস্তা বার করবেন।