দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি কি ভারতের নাগরিক? জানতে চেয়ে আর টি আই যুবকের

ফোকাস বেঙ্গল নিউজ ডেস্ক: আর পাঁচ জন নাগরিকের মতো তিনিও এই বাংলার এক নাগরিক ৷ তবে একটু আলাদা ভাবেই এগিয়ে রইলেন তিনি ৷ তথ্য জানার অধিকার আইনে সোজাসুজি আরটিআই করে ফেললেন তিনি ৷ ভারতের প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর সহ ১৩ জন দেশের জনপ্রতিনিধির নাগরিকত্বের প্রমান কি আছে জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রত্যেক ব্যক্তির দপ্তরে আর টি আই করে সরাসরি চিঠি লিখলেন কলকাতার যুবক প্রানজিত দে।
প্রানজিত দে জয় বাংলা সংসদ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি ৷ সংশোধিত নাগতিকত্ব আইন নিয়ে যখন উত্তাল দেশ, সেই সময় প্রানজিত দে-এর করা আর টি আই হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে ৷ ২০ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে তাঁর দপ্তরে আর টি আই করে তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমান জানতে চেয়ে চিঠি দেন ৷ সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারী উত্তর দেওয়া হয় প্রাধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ৷ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পাবলিক ইনফরমেশন সেল-এর আন্ডার সেক্রেটারি প্রভিন কুমার জবাবে জানান, দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইনের ৩  নম্বর সেকশন অনুযায়ী জন্ম সূত্রে এদেশের নাগরিক ৷
কিন্তু এই উত্তরের স্বপক্ষে কোন সরকারি কাগজ দেখানো হয়নি বা জবাবে সেই কাগজের উল্লেখ নেই ৷  তবু বসে নেই প্রানজিত বাবু ৷ তিনি  আর টি আই করে জানতে চেয়েছেন জনপ্রতিনিধি হিসাবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানী, বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধানকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রুপা গাঙ্গুলী, সাংসাদ শান্তনু ঠাকুর সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নাগরিকত্বের প্রমান ৷
সাধারন মানুষের ভোটে জিতে ক্ষমতায় থাকা মানুষ গুলোই যখন নিজেদের সমর্থনে নাগরিকত্বের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না, তখন সাধারন দেশবাসী কি ভাবে এবং কি কি কাগজ দেখাবেন তাদের নিজেদের নাগতিকত্বের প্রমান হিসাবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। পাশাপাশি এই প্রশ্নই এখন উঠে আসছে ৷ আর টি আই করা প্রানজিত দে জানিয়েছেন তিনি সঠিক উত্তরের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।

Recent Posts