নয়া সাইবার প্রতারণা, বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত লিঙ্কে ক্লিক করতেই গায়েব ৫০হাজার টাকা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: নিত্যনতুন কায়দায় প্রায় প্রতিদিন সাইবার প্রতারণার ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। অনলাইন মাধ্যমে লেনদেন করতে গিয়ে প্রায়ই প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন বহু মানুষ। সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগের পর অভিযোগ জমা করছেন প্রতারিতরা। কিছু ক্ষেত্রে সেই সমস্ত ঘটনার সমাধান যেমন করছে পুলিশ পাশাপশি বহু অভিযোগের তদন্তও চলছে। আখেরে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে টাকা খুইয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। সাধারণত এতদিন ব্যাঙ্ক বা বিভিন্ন সংস্থার নাম করে প্রতারকরা নানান তথ্য জানতে চেয়ে ফোন বা এসএমএস করে ওটিপি পাঠিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল। এবার এক নতুন সাইবার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে বর্ধমান সাইবার ক্রাইম থানায়।

সম্প্রতি বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন এলাকার এক বাসিন্দা এই নতুন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। তিনি বিদ্যুৎ বিল মেটানোর জন্য পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতেই তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বর্ধমান সাইবার ক্রাইম শাখার ওসি জানান,” এই ধরনের প্রতারণার ঘটনায় প্রথম অভিযোগ মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে ভিন রাজ্য থেকে প্রতারণার ছক চালানো হচ্ছে বলে মনে করছি আমরা। এক্ষত্রে রাজস্থানের একটি জায়গার সন্ধান পাওয়া গেছে। এতদিন ওটিপি বা ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটত। প্রতিদিন নতুন নতুন প্রতারণার পন্থা নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাই আরও সতর্ক হতে হবে। সাইবার শাখার পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রচারও চালানো হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত সম্প্রতি একটি ঘটনায় এক গ্রাহকের মোবাইলে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিষয়ে ফোন করা হয়। সেখানে গ্রাহকের তথ্য দিয়ে তাকে জানানো হয়, তার গত মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে। বিদ্যুৎ বিল না দেওয়া হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। তাকে একটি ম্যাসেজের লিঙ্ক পাঠানো হয়। যার মাধ্যমে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়। ফোন পাওয়ার পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তিনি খতিয়ে দেখেন তার পূর্বের কোনও বিদ্যুৎ বিল বাকি নেই। এরপর তিনি সতর্ক হয়ে যাওয়ায় প্রতারণার স্বীকার হননি।

অন্য একটি ঘটনায় বর্ধমান শহরের রানীসায়র পাড় এলাকায় এক ব্যক্তিকে ফোন করে একইভাবে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কথা জানানো হয়। কিন্তু, তার স্মার্টফোন না থাকায় তিনি প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে। তবে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিষয়ে সামান্য সন্দেহ হলেও সরাসরি উপযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া দরকার। অথবা সাইবার ক্রাইম দপ্তরে এসে সেই বিষয়ে জেনে নিয়ে তবেই লেনদেন করা উচিত।

Recent Posts