নাবালিকা ধর্ষনের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ কালনা আদালতের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা: প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে দশম শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অপরাধে আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার।সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী প্রদ্যুৎ বিশ্বাসের বাড়ি পূর্বস্থলী থানার নতুন দামপাল গ্রামে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এর উপধারা-১ অনুযায়ী সশ্রম যাবজ্জীবন ও ৩০হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬মাস কারাদন্ড এবং পকসো আইনের ৬ধারা অনুযায়ী সশ্রম যাবজ্জীবন ও ৩০হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬মাস কারাদন্ডের আদেশ ঘোষণা করেন বিচারক। এই দুটি সাজাই একসাথে চলবে বলেও আদেশ দেন বিচারক।

বিজ্ঞাপন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলা চলাকালীন ৬ জন ডাক্তার, তদন্তকারী অফিসার সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী  মলয় পাঁজা ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, ২০১৮ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে আসামির এক প্রতিবেশী পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। দশম শ্রেণীর ছাত্রী তার মেয়েকে স্থানীয় নতুন দামপাল গ্রামের বাসিন্দা প্রদ্যুৎ বিশ্বাস তার নিজের দোকানের পিছনে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এই কাজে সাহায্য করে প্রদ্যুৎ-এর ভাই স্বপন বিশ্বাস। অভিযোগ ছিল, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে প্রদ্যুৎ বিশ্বাস ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এখানেই থেমে না গিয়ে আসামি ভয় দেখিয়ে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে। 

পরে মেয়েটির স্বাস্থ্যের পরিবর্তন ঘটলে তাকে ডাক্তার-খানা নিয়ে যাওয়া হলে পরিবারের লোক জানতে পারেন মেয়েটি গর্ভবতী হয়েছে। এরপর মেয়ের কাছে সব কিছু জানতে পরার পর বিবাহিত প্রদ্যুৎ বিশ্বাস ও স্বপন বিশ্বাসের নামে পূর্বস্থলি থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। স্বপন বিশ্বাস জামিনে ছাড়া পেলেও মূল আসামী প্রদ্যুৎ বিশ্বাসের জেল হেফাজতের সাজা হয়। দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে এই মামলা চলার পর মঙ্গলবার কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি সুধীর কুমার প্রদ্যুত বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আর বুধবার সেই মামলার সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।

আরো পড়ুন