বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান: নিউ ইয়র্কে বাঘিনীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটার কথা জানতে পারার পরই গোটা দেশের সঙ্গে বর্ধমান শহরের রমনাবাগান জু অথরিটিও কড়া সতর্কতা অবলম্বন করলেন। বর্ধমান জেলা বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের ঘটনায় দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাও চিড়িয়াখানায় দর্শক আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এরই পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের ঘটনার পর তাঁরাও রমনাবাগানের সমস্ত পশু, পাখি সহ বিশেষ করে নজর দেওয়া হয়েছে চিতাবাঘের ক্ষেত্রে।
দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, কড়াভাবেই পশুপাখিদের হাইজিন বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি করা হচ্ছে। একদিন অন্তর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। জু-কিপার বা কর্মীদের গ্লাভস এবং মাস্ক দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তাঁরা কোভিড-৯৫ মাস্ক পাননি। তা আনার জন্য তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, জু-এর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের রীতিমত করোনার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তাঁদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি প্রতিদিন পশু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করছেন পশু পাখিদের। অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চিতাবাঘের ক্ষেত্র।
চিতাবাঘের ঘরকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, স্যানিটাইজ করা এবং সর্বোপরী রমনাবাগানের সমস্ত খাঁচা বন্দি পশু পাখিদের ওপর কড়া সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, এখনই কোনো ভয়ের কারণ না থাকলেও এবং রমনাবাগানের পশু পাখিরা রীতিমত সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকলেও তাঁরা কোনোরকম ফাঁক ফোকর রাখছেন না। দেবাশীষ বাবু জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পশুদের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তবে লকডাউন উঠে গেলেও কবে, কিভাবে আবার সাধারণের জন্য এই জুলজিক্যাল পার্ক খুলে দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে এখনি কিছু জানানো সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন দেবাশীষ বাবু।