নির্বাচনের মুখেই বর্ধমান বিজেপির জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া সহ ৩ নেতাকে সাসপেণ্ড করার ঘটনায় চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের দিনক্ষণ ঘোষণার দিনেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে অভিজিৎ তা কে নতুন সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে রাঢ়বঙ্গের বুথ ইনচার্জ করে দেওয়া হয় সন্দীপ নন্দীকে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আর শুক্রবার জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেবার পর শনিবার ফের বর্ধমান সদর বিজেপির তিনজন কর্মীকে দল থেকে সাসপেণ্ড করল বিজেপি রাজ্য কমিটি। শুক্রবারই বিজেপির সোঁয়াই গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতিকান্ত মণ্ডল, পালসিটের বাসিন্দা সাগ্নিক শিকদার এবং বর্ধমানের ডিভিসি মোড়ের বাসিন্দা উত্তম চৌধুরী কে এক বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুক্রবারই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই সিদ্ধান্ত এই দলীয় কর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি (ইলেকশন অফিস ইনচার্জ) প্রতাপ ব্যানার্জ্জী। আর এই ঘটনায় বিজেপির অন্দরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন ঘোষণার পর পরই এই ধরণের শুদ্ধিকরণের রাস্তায় হাঁটায় দলের পক্ষে এটা ঝুঁকিবহুল সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন বিজেপির কর্মীরা। যদিও দলেরই একাংশ সূত্রে জানা গেছে, আদি বিজেপির কর্মীদের ভোটের আগে হাতে এবং ধরে রাখতেই দলের এই স্ট্রেটিজি। উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারী বিজেপির জেলা অফিসে আদি ও নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর চালানো হয় জেলা কার্যালয়ে। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ ১৪ জনকে শোকজ করে রাজ্য কমিটি। যথারীতি ৭ দিনের মধ্যে সেই শোকজের জবাব পাঠান নেতারা। জানা গেছে, সেই শোকজের ভিত্তিতেই শুক্রবার স্মৃতিকান্ত মন্ডল, উত্তম চৌধুরী ও সাগ্নিক সিকদারকে সাসপেন্ড করলো রাজ্য কমিটি। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ জানুয়ারীর ওই ঘটনার পরই বিজেপির আদি ও নব্য গোষ্ঠীর সমর্থকরা রীতিমত দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আদি কর্মীরা পাল্টা প্রার্থী দেবার কথাও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দেওয়াল লিখনও শুরু করে দিয়েছেন। এমতবস্থায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মাথা চাড়া দেওয়া দলের অভ্যন্তরে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ঠেকাতে দলের নেতাদের এভাবে সাসপেণ্ড করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপির একাংশ। 

আরো পড়ুন