পঞ্চায়েতের দখলদারী নিয়ে গলসীতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৭জন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসী: পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের গলসীর উচ্চগ্রাম। পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত্রি আটটা নাগাদ ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল দুই গোষ্ঠী। ইট, রড, লাঠি নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে দু পক্ষের প্রায় ৭ জন জখম হয়েছেন। ঘটনার জেরে মাথা ফাটে ২ জনের। এরমধ্যে লক্ষ্ণণ বাগ্দী নামে এক তৃণমূল কর্মীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিত্সা করানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এদিন রাতেই খবর পেয়ে গলসী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা থাকায় গ্রামে মোতায়েন করা রয়েছে পুলিশ পিকেট। দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কয়েকজনকে আটক করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেখ জনি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন সরোজ চক্রবর্তী। তাঁরা তা বন্ধ করার জন্যই শুক্রবার রাতে পরিকল্পিতভাবে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়।
অপরদিকে, সরোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁর ওপর এবং তাঁর কয়েকজন অনুগামী তৃণমূল নেতার ওপর সেখ জনি সহ আরও কয়েকজন নেতা বিজেপির সমর্থনে হামলা চালায়। এতে তাঁদের কয়েকজন সমর্থক গুরুতর জখম হন। এ ব্যাপারে তিনি গলসী থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। তিনি দাবী করেছেন, তিনি উচ্চগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্যই প্রতিহিংসায় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এব্যাপারে বিজেপি কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন, বিজেপির ৫৮নং জেলা পরিষদের মণ্ডল সভাপতি রাজু পাত্র। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের লড়াই করছেন। এটা তারই জের, এর সঙ্গে কোনোভাবেই বিজেপি জড়িত নয়।